শান্তনু নস্কর, বাসন্তী (দক্ষিণ ২৪ পরগনা):  চোর সন্দেহে এক ব্যক্তিকে বেধড়ক মারধর এলাকাবাসীর। গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্দার করে  হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা ওই ব্যক্তিকে  মৃত ঘোষণা করে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ  পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে। সেইসঙ্গে পুলিশ একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে। মৃত ব্যক্তির নাম রফিকুল মোল্লা (বাকিবুল), বয়, ২৮। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী থানার চড়াবিদ্যা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়।


স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, রফিকুল মোল্লা  ওরফে বাকিবুল গত মঙ্গলবার রাতে চড়াবিদ্যা এলাকায়  শ্যামল সরদার নামে প্রয়াত এক ব্যক্তির বাড়িতে মোটর সাইকেলে করে এক সঙ্গীসহ চুরি করতে আসে। সে সময় রফিকুল ধরা পড়ে গেলেও তার সঙ্গী পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। চিৎকার চেঁচামেচিতে জড়ো হয়ে যায় গ্রামের লোকজন। চলে রফিকুলের উপর বেধড়ক মারধর। শেষে তাকে বেঁধে রাখা হয় জখম অবস্থায়। সকালে খবর পেয়ে স্থানীয় ভিপি রফিকুলকে উদ্ধার করে স্থানীয় পুলিশ ক্যাম্পে নিয়ে যায়। তারপর সেখান থেকে  বাসন্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা তাকে দেখে মৃত বলে ঘোষণা করেন।


পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। পাশাপাশি, এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ মৃত শ্যামল সরদারের ছেলে চিরঞ্জীত সরদার সহ আরও চারজন আটক করেছে ও একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে। এলাকায় পুলিশ পিকেট বসেছে।


অন্যদিকে জানা গেছে, রফিকুল ওরফে  বাকিবুলের বাড়ি জীবনতলা থানার আঠারবাঁকি গ্রাম পঞ্চায়েেতের গাব্বুনি গ্রামে। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, কান্নায় ভেঙে পড়েছে রফিকুলের পরিবার। লোকজন জড়ো হয়েছে তার বাড়িতে। পরিবার ও পাড়ার লোকজনের দাবি, রফিকুল কাজের বিষয়ে গিয়েছিল।  ফেরার সময় ওকে আটকে কোনও আক্রোশের জেরে হয়তো বেধড়ক মারধর করে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। তাঁরা আরো বলেন, যদি ও চুরি করতে যায় তাহলে হাত বা পা কেটে দিতে পারতো। ওকে এভাবে মেরে ফেলা হল কেন? পুলিশ প্রশাসনের কাছে  আমরা দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থার গ্রহণের দাবি করছি। এ ঘটনায় চড়াবিদ্যা সরদার পাড়া এলাকা পুরুষশূন্য হয়ে গেছে, অন্যদিকে গাব্বুনি এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।