রঞ্জিৎ হালদার, ভাঙড় (দক্ষিণ ২৪ পরগনা): স্ত্রীকে খুনের চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। ধৃতের নাম সঞ্জয় ঘোষ। কাশীপুর থানা এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ, ২০১৮ সালে বিয়ের পর থেকেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক অশান্তি ছিল। স্ত্রীর অভিযোগ, গত ৪ অক্টোবর পারিবারিক অশান্তি চরমে উঠলে, তাঁর স্বামী তাঁকে মারধর করেন। অভিযোগ, মুখে বালিশ চাপা দিয়ে খুন করার চেষ্টা হয়। ওই মহিলা ১০০ ডায়ালে ফোন করে পুলিশের সাহায্য চান। সেই ফাঁকে পালিয়ে যান স্বামী। কাশীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। রবিবার ওই বধূর স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
অভিযোগ, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে স্বামী অস্বীকার করছেন নিজের স্ত্রী,কোলের সন্তানকে। স্বামীর এই দায়িত্বজ্ঞানহীনতার প্রতিবাদ করে নিগ্রহের শিকার হলেন ওই গৃহবধূ। অভিযোগ, ভাঙড়ের এক আবাসনে ওই গৃহবধূর ওপর ব্যপক অত্যাচার করেন স্বামী।কিল,চড় ঘুষির পাশাপাশি তাঁকে বালিশ চাপা দিয়েও মারার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ।এই ঘটনায় নির্যাতিতা গৃহবধূ পল্লবী ঘোষ কাশীপুর থানায় অভিযোগ করেছেন।অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তাঁর স্বামী সঞ্জয় ঘোষকে গ্রেপ্তার করেছে। সঞ্জয় একটি বেসরকারি সংস্থায় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে কাজ করেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, বছর তিনকে আগে দমদমের বাসিন্দা সঞ্জয়ের সঙ্গে বিধাননগরের বাসিন্দা পল্লবীর বিয়ে হয়।তাঁদের একটি শিশু সন্তানও আছে।এই দম্পতি ভাঙড়ের সাতুলিয়াতে একটি আবাসনের ২ জি টাওয়ারের দ্বিতীয় তলের একটি ফ্ল্যাটে থাকেন।অভিযোগ, কয়েকদিন আগে স্ত্রীকে খুন করার চেষ্টায় রান্নাঘরে গ্যাসের পাইপ খুলে রাখেন সঞ্জয়। ওই অভিসন্ধির কথা জানতে পেরে পল্লবী প্রতিবাদ করলে ফ্ল্যাটের মধ্যেই তাঁর মুখে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করার চেষ্টা করা হয়।কোনক্রমে নিজেকে বাঁচিয়ে ১০০ ডায়াল করেন পল্লবী।কাশীপুর থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে।সোমবার সঞ্জয়কে গ্রেফতার করে বারুইপুর আদালতে পেশ করে। সেখানে বিচারক অভিযুক্তের পাঁচ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।