জয়দীপ হালদার (পাথরপ্রতিমা), দক্ষিণ ২৪ পরগনা:    দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমার জগদ্দল নদীতে  হঠাৎই ভেসে উঠল কুমির। বড়সড় একটি কুমিরকে নদীর জলে দেখা যায়।  পূর্ণবয়স্ক কুমিরটিকে দেখতে প্রচুর মানুষ ভিড় করেন নদীর  পাড়ে। রাখালপুর আড্ডির বাজারের  কাছে হঠাৎই নদীতে ভেসে ওঠে  ওই কুমিরটি। দীর্ঘক্ষন নদীতে ভাসতে দেখা যায় কুমিরটিকে।


উল্লেখ্য, পাথরপ্রতিমায় মাঝেমধ্যেই কুমিরের আনাগোনা দেখা যায়। গত মে মাসে ইয়াসের ঘূর্ণিঝড়ের পর কটালের দাপটে পাথরপ্রতিমার একটি গ্রামের পুকুরে কুমির চলে এসেছিল। কটালের জল ঢুকে পড়েছিল পাথরপ্রতিমা ভগবত্‍পুর কুমির প্রকল্পেও। এই কুমির প্রকল্পে ৩২৩টি কুমির রয়েছে । ঘটনার দিন সকালে পাথরপ্রতিমার ব্রজবল্লভপুরে একটি পুকুর থেকে উদ্ধার হয় একটি কুমির। ১২ ফুট লম্বা কুমিরটিকে উদ্ধার করেন বন দফতরের কর্মীরা। কটালের জেরে জগদ্দল নদী থেকে কুমিরটি লোকালয়ে ঢুকে পড়ে বলে  বন দফতরের আধিকারিকরা অনুমান করেছিলেন।


এর আগেও পাথরপ্রতিমায় কুমির ঢুকে পড়ার ঘটনা সামনে এসেছিল।  গত বছরের অক্টোবরেই নদী ছেড়ে পুকুরে ঢুকে পড়েছিল একটি কুমির। সেই ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছিল গ্রামে। পাথরপ্রতিমার রাখালপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছিল।  ঘটনার দিন দুপুরে স্থানীয় বাসিন্দা অভিমন্যু দাসের পুকুরে নামেন পরিবারের এক মহিলা। জলের মধ্যে বিশালাকার কোনও প্রাণীর নড়াচড়া টের পেয়েই পড়িমরি করে উঠে আসেন জল থেকে। তাহলে কি কুমির ঢুকেছে পুকুরে? ক্রমে ক্রমে বার্তা রটে যেতেই ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। ছুটে আসে লোকজন। আসেন পঞ্চায়েত প্রধান। খবর যায় থানা ও বন দফতরে। কিন্তু সন্ধে নেমে আসায়, কুমিরটিকে ধরা যায়নি। আতঙ্কে রাতের ঘুম উড়ে যায় গ্রামবাসীদের। পরের দিন সকালে পুকুরের জল তুলে জাল ফেলে তোলা হয় কুমিরটিকে। ১২ ফুটের মস্ত কুমির দেখতে তখন পুকুর-পাড়ে উপচে পড়া ভিড়। পাথরপ্রতিমা শ্রীধরনগর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান বলেছিলেন, গিয়ে দেখি বড় কুমির। পুলিশ ও বন দফতরে খবর দিই। সকাল থেকে জল কমিয়ে কুমির ধরা হয়।


পরে কুমিরটিকে নদীতে ছাড়ার ব্যবস্থা করে বন দফতর।