রঞ্জিত হালদার,  দক্ষিণ ২৪ পরগনা:  সোনারপুরের দক্ষিন জগদ্দল এলাকায় ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে ৷ মৃতার নাম তনিমা ঢালি ৷ ৯ বছর আগে দক্ষিন সাবির ঢালির সাথে বিয়ে হয় তনিমার ৷ 


তাঁদের ৮ বছরের একটি সন্তানও রয়েছে ৷ সম্প্রতি ফের অন্তঃসত্ত্বা  হন তনিমা দেবী ৷ প্রথম সন্তান হওয়ার পর থেকে বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য তনিমার উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হত বলে অভিযোগ ৷ এছাড়াও প্রায়ই স্বামী মদ্যপ অবস্থায় রাতে বাড়ি ঢুকে তাকে মারধর করত বলে অভিযোগ ৷ শনিবার এলাকার বাসিন্দাদের কাছ থেকে বাড়ির মেয়ের মৄত্যুর খবর জানতে পারে তনিমার পরিবারের লোকজন ৷ এই বিষয়ে জামাইয়ের কাছে জানতে চাওয়া হলে তার কথায় অসঙ্গতি পাওয়া যায় ৷ ইতিমধ্যে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ ৷ ঘটনায় মৃতার বাবা সোনারপুর থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেন ৷ ঘটনার তদন্‌ত শুরু করেছে পুলিশ ৷ এর পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত ৷ তার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ ৷


উল্লেখ্য, গত শুক্রবার  বীরভূমের নানুরে পারিবারিক বিবাদের জের ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্বামীর হাতে খুন হয়েছিলেন স্ত্রী খুন। ঘটনাটি ঘটেছিল বীরভূমের নানুর থানার অন্তর্গত সিধাই গ্রামে। 


পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, গ্রামেরই হানিফ শেখের সঙ্গে বছর দুয়েক আগে বিয়ে হয় মরিয়মের।তারপর থেকেই অশান্তি চলতে বলে পরিবার সূত্রে খবর। দীর্ঘদিন ধরে মরিয়ম বিবির সাথে তার স্বামী শেখ হানিফের পারিবারিক বিবাদ চলছিল। শুক্রবার দুপুরে তা চরম আকার নেয়। এরপর বাড়ির খামারে, মরিয়ম বিবি যখন দাঁড়িয়ে থাকে ঠিক সেই সময়ই, ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মারতে থাকে শেখ মরিয়ম। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় মরিয়মের।  জখম হয় স্বামী হানিফ শেখও। তাকে গুরুতর অবস্থায় বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পারিবারিক বিবাদের জেরে গৃহবধূর খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে নানুরে। খুনের ঘটনায় ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ।ঠিক কী কারণে খুন তা তদন্ত শুরু করেছে নানুর থানা পুলিশ।