গৌতম মণ্ডল, সাগর: হাড়হিম করা খুনের ঘটনা এবার সাগরে। দাম্পত্যে টানাপোড়েনের জেরে গলা কেটে স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে। ধারাল অস্ত্র দিয়ে স্ত্রীর গলা এবং মাথায় তিনি কোপ বসান বলে অভিযোগ। বিষয়টি সামনে আসার পর থেকেই গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন অভিযুক্ত ব্যক্তি। নিহত মহিলার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। (South 24 Parganas News)
দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগরের ঘটনা। বছর পাঁচেক আগে রায়দিঘির পূর্ব শিকারপুরের বাসিন্দা শুকদেব নাইয়ার সঙ্গে বিয়ে হয় সাগরের মুড়িগঙ্গা-১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের পাখিরালা গ্রামের বাসিন্দা অনিমা মণ্ডল নাইয়ার। তাঁদের বছর চারেকের এক সন্তানও রয়েছে। এরই মধ্যে, বছর দুয়েক আগে দ্বিতীয় বার বিয়ে করেন শুকদেব। সেই নিয়ে অনিমার সঙ্গে অশান্তি চরমে ওঠে। (Sagar News)
স্থানীয়দের দাবি, অনিমার উপর শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচার চালাতেন শুকদেব। দিনের পর দিন এমন চলতে থাকায়, একদিন সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন অনিমা। সেই মতো একমাত্র সন্তানকে কোলে নিয়ে রায়দিঘির শ্বশুরবাড়ি থেকে সাগরে নিজের বাপের বাড়িতে গিয়ে ওঠেন। সেই থেকে বাপের বাড়িতেই ছিলেন অনিমা।
আরও পড়ুন: Sandeshkhali Incident:দুই মন্ত্রী ফিরতেই শেখ শাহজাহানের গ্রেফতারির দাবিতে পোস্টার এলাকায়
কিন্তু ছেলের সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে সম্প্রতি ফের উদয় হন শুকদেব। বার বার একই আর্জি জানাতে থাকেন। ছেলেকে নিজের কাছে নিয়ে যেতে চান বলে জানান। এমনকি সাগরে এক আত্মীয়ের বাড়িতেও থাকতে শুরু করেন তিনি। রবিবার সকালে বাপের বাড়িতে একাই ছিলেন অনিমা। সেই সময়ই অতর্কিতে শুকদেব হামলা চালান বলে অভিযোগ।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, রবিবার একাই ছিলেন অনিমা। ঘুমিয়ে পড়েছিলেন তিনি। সেই সময় ঘুমন্ত অবস্থাতেই অনিমাকে কোপাতে শুরু করেন শুকদেব। গলায়, মাথায় এলোপাথাড়ি কোপ বসাতে থাকেন কাটারি দিয়ে। যত ক্ষণে পাড়া-পড়শিরা টের পান, তত ক্ষণে সাই সাইকেলে চেপে ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দিয়েছেন শুকদেব। এখনও পর্যন্ত গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন তিনি।
অনিমার পড়শিরাও থানায় খবর দেন। তার পর ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছন সাগরের ওসি শুভেন্দু দাস এবং বিশাল পুলিশ বাহিনী। অনিমার দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, গতকালই স্থানীয় বাজার থেকে একটি কাটারি কেনেন শুকদেব। তাঁর খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।