রঞ্জিত হালদার, বারুইপুর : অক্টোবর মাসেই ভারতে করোনার তৃতীয় ঢেউ শিখর ছুঁতে পারে বলে, সতর্ক করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনস্থ ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট। এই পরিস্থিতিতে প্রতিদিন ৫০ জনের বেশিও করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায়। যা নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রশাসনও। পরিস্থিতি সামাল দিতে, বারুইপুর মহকুমায় ১৪টি জায়গাকে কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়েছে। কোন কোন এলাকা কনটেইনমেন্ট জোন হিসেবে ধরা হচ্ছে , দেখে নিন এক নজরে ।
- রয়েছে রাজপুর সোনারপুর পুরসভার অন্তর্গত ১০টি জায়গা। কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, সোনারপুর ব্লকের খেয়াদহ দুই ও বনহুগলি দুই নম্বর পঞ্চায়েত এলাকা।
- রয়েছে ভাঙড় এক ও দুই নম্বর পঞ্চায়েত এলাকা।
করোনা মোকাবিলায় ১৬ মে থেকে করোনায় কড়া বিধি নিষেধ চলছে রাজ্যে। ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত সেই বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়িয়েছে নবান্ন। কিন্তু, তাতেও সংক্রমণ ঠেকানো যাচ্ছে না কোনও কোনও জায়গায়। বারুইপুরের ১৪টি এলাকাকে কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।
বারুইপুরের মহকুমাশাসক সুমন পোদ্দার জানিয়েছেন, 'গত সপ্তাহে ১৪টি জায়গায় ৪৯ জন আক্রান্ত হয়েছে। তাই এই উদ্যোগ। মাস্ক বিতরণ হয়েছে। মানুষকে সচেতন করা হয়েছে। ভিড় কমানোর জন্য আবেদন করা হয়েছে।'
কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণার পর, ১৪টি জায়গায় এই ফ্লেক্সগুলি টাঙানো হয়েছে পুলিশের তরফে। পাশাপাশি চলছে সতর্কতামূলক প্রচার।
অক্টোবরে দুর্গাপুজো। আর তখনই, দেশে শিখর ছুঁতে পারে করোনার তৃতীয় ঢেউ! PMO-কে সতর্ক করে এমনই রিপোর্ট দিয়েছে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট। তবে, আশার কথা হল, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের রিপোর্ট বলছে, করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় শিশুরা বেশি সংক্রমিত হবে, এরকম কোনও প্রত্যক্ষ প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঘাড়ের ওপর নিঃশ্বাস ফেলছে করোনার থার্ড ওয়েভ।
কিন্তু, কোথায় সচেতনতা? কোভিড সতর্কবিধি এভাবে উপেক্ষা করলে, তৃতীয় ঢেউ যে অবশ্যম্ভাবী, এ আর বলার অপেক্ষা রাখে না।