জয়ন্ত রায়, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: এক ব্যক্তির রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলা থানার অন্তর্গত ডাকঘর কালীমন্দিরের পেছনে। সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, স্থানীয়রাই প্রথম কম্বল জড়ানো দেহটি দেখতে পেয়ে মহেশতলা থানায় খবর দেয়। এরপরই ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে কম্বল সরিয়ে দেখতে পায় মাথা থেতলে যাওয়া মাঝ বয়সি ওই ব্যক্তিকে।


পাশেই একটি ইটে রক্তমাখা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে পুলিশের সন্দেহ সম্ভবত এই ইট দিয়েই পিটিয়ে পিটিয়ে ওই ব্যক্তিকে খুন করা হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে ওই ব্যক্তিকে কেউ শনাক্ত করতে না পারলেও পরবর্তী সময়ে আশেপাশে বিভিন্ন এলাকায় খবর দিলে জানা যায় কম্বল জড়ানো রক্তাক্ত ওই ব্যক্তির নাম হাফিজুল মল্লিক(৪০)। তাঁর বাড়ি ডাকঘর কাজি পাড়ায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ভীষণ নেশা করতেন সেই ব্যক্তি। এছাড়াও সেই ব্যক্তি রাতে প্রায়শই বাড়ির বাইরেই থাকত। সেই অর্থে কোন কাজ না করলেও যখন যেমন কাজ পেত তেমনই করতো। আপাতত পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে বেহালার বিদ্যাসাগর হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।


বছরের শেষ দিনে গাড়ি দুর্ঘটনা


বছরের শেষ দিনও দুর্ঘটনার (accident) সাক্ষী থাকল মহানগর (kolkata)। ময়দানের কাছে ক্যাসুরিনা অ্যাভিনিউয়ে একটি গাছে (tree) ধাক্কা মেরে উল্টে গেল বেপরোয়া গাড়ি (car)। আহত গাড়ির দুই যাত্রী।


কী ঘটেছিল?
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটি কোলাঘাট থেকে আসছিল। কোনও কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছে ধাক্কা মেরে উল্টে যায় সেটি। কোনওক্রমে ভিতর থেকে চালক ও আরোহী বেরিয়ে আসেন। গাড়ির এয়ারব্যাগ খুলে যায়। তবে গাড়ির গতিবেগ বেশি থাকাতেই এই দুর্ঘটনা, প্রাথমিক ভাবে মনে করছে ময়দান থানার পুলিশ। কিন্তু চালক মত্ত ছিলেন কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রাজ্যের নানা প্রান্তে দুর্ঘটনা নতুন কিছু নয়। গত মঙ্গলবারই যেমন ভুবনেশ্বর এমস থেকে ফেরার পথে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় পড়ে অ্যাম্বুল্যান্স। মারা যান রোগী। জখম বন অ্যাম্বুল্যান্সের চালক-সহ মোট ছয় জন। মৃত রোগী এবং আহতরা পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরের বাসিন্দা। আহতদের মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। ওই দিন সকালেই আরও একটি দুর্ঘটনার কথা সামনে আসে। তার জন্যও ঘন কুয়াশা এবং দৃশ্যমানতা কমে যাওয়াকে দায়ী করা হয়। কুয়াশাচ্ছন্ন সকালে মুর্শিদাবাদের দৌলতাবাদে বাস-লরির মুখোমুখি সংঘর্ষ বাধে। সেই দুর্ঘটনায় বাস চালকের মৃত্যু হয়। আহত হন নয়জন বাসযাত্রী।