ভাঙর: ফের ফুটবল মাঠে সংঘর্ষের ঘটনা। যার ভিডিও ভাইরাল প্রকাশ্যে। ঘটনাটি ঘটেছে ভাঙরে। সূত্রের খবর, সেখানে ভোজেরহাট ফুটবল মাঠে ডে-নাইট ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়। কিন্তু খেলা চলাকালীন হঠাৎই দর্শকদের একাংশের মধ্যে বচসা-মারামারি শুরু হয়। যার রেশ চলে আসে মাঠেও। এরপর মাঠের মধ্যেই চলে ধস্তাধস্তি, মারামারি।
ঘটনাস্থলে হাজির ছিলেন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক সওকত মোল্লা। এছাড়াও ঘটনাস্থলে ছিলেন তৃণমূলের অন্যান্য নেতা-কর্মীরা ও হাজির ছিলেন ভাঙড়ের বিভিন্ন থানার ওসিরা। তাঁদের সামনেই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে, উত্তেজনা ছড়ায়। এরপর বেশ কিছুক্ষণ পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। কিন্তু খেলার মাঠে এমন ঘটনায় স্বভাবতই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
এর আগে ফুটবল মাঠে ঝামেলার ছবি দেখা গিয়েছিল নৈহাটিতে। ভুল পেনাল্টি ঘোষণা, রেফারিকে মাঠে ফেলে বেধড়ক মার! নৈহাটির বঙ্কিমাঞ্জলি স্টেডিয়ামে উত্তেজনায় গ্রেফতার করা হয়েছিল ৪ জনকে। সুপার ডিভিশনের ফাইনাল ম্যাচ ঘিরে ধুন্ধুমার হয়েছিল। বেলঘড়িয়া অ্যাথলেটিক ক্লাবের সঙ্গে ম্যাচ ছিল খড়দার সূর্য সেন স্পোর্টিং ক্লাবের। ৭১ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি পায় বেলঘড়িয়া অ্যাথলেটিক ক্লাব। ভুল সিদ্ধান্তের অভিযোগ তুলে রেফারিকে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল। সূর্য সেন স্পোর্টিং ক্লাবের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল। নৈহাটি স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি আহত হয়েছিলেন রেফারি চরণ হেমব্রম। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন নৈহাটির বিধায়ক সনৎ দে। আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্ত জানিয়েছিলেন, ''এটা একেবার ন্যক্কারজনক ঘটনা। এটা কোনওভাবেই কাম্য নয়। রেফারিরা মাঠে আসেন, ব্য়ালান্স করে খেলান। যাদের সুষ্ঠভাবে খেলাটা পরিচালনা করা হয়। মাঠে ঢুকে রেফারিকে মারব, এটা কোনওভাবেই হতে পারে না। আমার মনে হয় দোষীদের কঠিন থেকে কঠিনতর শাস্তি নেওয়া উচিৎ। তাহলেই ভবিষ্যতে আর কেউ এমনটা করবেন না।''
নৈহাটির বিধায়ক সনৎ দে সেই ঘটনা প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ''সুপার ডিভিশনের ম্যাচ ছিল। বেলঘড়িয়া অ্য়াথলেটিক ক্লাব ও খড়দা সূর্যসেন ক্লাবের ম্য়াচ ছিল। খেলার ৭১ মিনিটের সময় হঠাৎ দেখতে পেলাম যে সূর্যসেন স্পোর্টিংয়ের যে গোলরক্ষক, তিনি রেফারিকে সজোরে লাথি মারেন। একই সঙ্গে ক্লাবের এক কর্তাও মাঠে চলে আসেন। তিনিও রেফারিকে মারতে থাকেন।''
ফুটবল মাঠে এমন ছবি কেন বারবার দেখা যাচ্ছে তা নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে। কিছুদিন আগেই লিওনেল মেসিকে আনা ও তাঁকে ঘিরে যে অব্যবস্থার ছবি যুবভারতীতে দেখা গিয়েছিল, তার জন্য মাথা হেঁট হয়েছিল বাংলার গোটা বিশ্বের সামনে।