শান্তনু নস্কর, জীবনতলা (ক্যানিং): ক্যানিংয়ে সাপের কামড়ে মৃত্যু শিশুর, চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ পরিবারের। জীবনতলা থানার মঠেরদীঘি গ্রামের জিয়ারুল মিস্ত্রির নাবালক পুত্র সন্তান আনারুল মিস্ত্রিকে গতকাল সাপে কামড়ায়। পরিবারের অভিযোগ মাঠে খেলার সময় তার পায়ে কিছু একটা কামড়ালে, সে বাড়িতে গিয়ে জানায় তার পায়ে কিছু কামড়েছে। সঙ্গে সঙ্গে তার পরিবার তাকে নিয়ে মঠেরদীঘি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে দীর্ঘক্ষণ বসিয়ে রেখে নামমাত্র একটা ইনজেকশন দেওয়া হয় বলে পরিবারের অভিযোগ। বারবার চিকিৎসককে জানালে তিনি তার কর্ণপাত করেননি। অবশেষে সেই শিশুসন্তান যখন প্রায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে তখন তাকে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসকরা শিশু আনারুলকে (০৯) মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় পরিবার মঠেরদীঘি হাসপাতালের বিরুদ্ধে চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ পরিবারের। তারা দাবি করছেন সঠিক সময়ে চিকিৎসা করালে তার শিশুকে এইভাবে হারাতে হতো না তবে তিনি আরও দাবি করছেন এই ভাবে যাতে আর অন্য কোন পরিবারের এমন ঘটনা না ঘটে সেদিকে নজর দিতে। দেহটি উদ্ধার করে ক্যানিং থানার পুলিশ ময়নাতদন্তে নিয়ে যায়।
এদিকে বিষাক্ত সাপের কামড়ে মানুষের মৃত্যু আটকাতে নতুন ওষুধের ক্লিনিকাল ট্রায়াল শুরু হতে চলেছে কলকাতার ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। গবেষকদের দাবি, ক্লিনিকাল ট্রায়াল সফল হলে বিষাক্ত সাপের কামড়ের চিকিৎসায় এক নতুন দিগন্তের সূচনা হতে পারে।
বিষাক্ত সাপের ছোবল খাওয়ার পর রোগীর মূল লড়াই সময়ের সঙ্গে। বিষ যত তাড়াতাড়ি রক্তে মিশে যায়, ততই নিষ্ক্রিয় হতে থাকে শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ। তাই অনেক সময় হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে অ্যান্টি স্নেক ভেনম দেওয়ার পরেও, শুধুমাত্র দেরির কারণে বাঁচানো সম্ভব হয় না রোগীকে। অথচ গ্রাম বাংলার প্রত্যন্ত এলাকা থেকে সরকারি হাসপাতালে পৌঁছনো অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। এই প্রেক্ষিতে চিকিৎসা বিজ্ঞানী ও গবেষকরা আশার আলো দেখছেন একটি ট্যাবলেটকে ঘিরে।