রঞ্জিত হালদার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: মহালয়ার আগের দিন সোনারপুরের বরেন্দ্রপাড়ায় সোনার দোকানে লুঠ। সোনারপুর থানা থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে সোনার দোকানে লুঠ। দোকান মালিকের মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে লুঠ। বাইকে করে ২ দুষ্কৃতী আসে, সোনার দোকানের লুঠের পর চম্পট দেয়। ঘটনাস্থলে সোনারপুর থানার পুলিশ।
সোনার দোকানে একের পর এক চুরি ঘটনায় ইতিমধ্যেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতা হয়েছে রাজ্যের। তার কারণ এখন আর শুধুই চুরিতে আটকে নেই। সোনার দোকানে ইতিমধ্যেই হামলা চালিয়ে পরপর শ্যুটআউটের ঘটনাও ঘটেছে। কিছুদিন আগে ভুগতে হয়েছে কোচবিহারের তুফানগঞ্জের আরও এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে।
তুফানগঞ্জ ১ নং ব্লকের ধলপল ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ছাটারামপুর বাজার এলাকায় সোনার দোকানে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটেছে। চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওই এলাকায়। জানা গিয়েছে, তাপস বিশ্বাস নামে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর দোকানে রাতের অন্ধকারে শাটার ভেঙে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটেছে।সকালে পাশের দোকানদার সুকুমল বিশ্বাস দোকানে এসে দেখতে পান সোনার দোকানের শাটার ভাঙা। তড়িঘড়ি দোকানের মালিকে খবর দেন। খবর চাউর হতেই দোকানের সামনে ভিড় জমে যায় দোকানের সামনে। দোকানের মালিক জানান, নগদ ৫০ হাজার টাকা-সহ লক্ষাধিক টাকার সোনা রুপো নিয়ে গেছে চোরের দল। ঘটনা স্থলে তুফানগঞ্জ থানার পুলিশ এসে তদন্ত শুরু করেছে।
'সোনার দোকানে ডাকাতি', প্রায়শই এই তিনটি শব্দ খবরের শিরোনামে উঠে আসছে। এখানেই শেষ নয়, এই ডাকাতির কারণে অতীতে 'খুন'ও হতে হয়েছে সোনার দোকানের মালিককে। প্রশ্ন একটাই 'নিরাপত্তা' কোথায় ? কার্যতই ঘুম উড়েছে রাজ্যের স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের। আর এই প্রশ্নের মাঝেই একইদিনে রাজ্যের দুটি জেলা রানাঘাট ও পুরুলিয়ায় ২টি সোনার দোকানে পরপর ডাকাতি ঘটনা ঘটেছে। সিসিটিভি-র সেই ভয়াবহ ফুটেজ ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। ডাকাতির এই ঘটনা ফের চোখে আঙুল দেখিয়ে দিল স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের বর্তমান নিরাপত্তার চেহারাটা এই মুহূর্তে কোথায় দাঁড়িয়ে ?