গৌতম মণ্ডল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বিবাহ বহির্ভূত (Extra Marital)সম্পর্কের সন্দেহে এক মহিলা ও যুবককে বেঁধে রেখে মারধরের অভিযোগ উঠল প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে। অমানবিক ছবি দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপে (Kakdwip)। নারায়ণপুর তৃতীয়ঘেরি এলাকার বাসিন্দা ওই মহিলা। তাঁর স্বামী মৎস্যজীবী, অধিকাংশ সময়েই বাড়িতে থাকেন না। প্রতিবেশীদের দাবি, গতকাল রাতে এলাকারই এক যুবককে ওই মহিলার ঘর থেকে হাতেনাতে ধরা হয়। তারপরই তাদের রাতভর বেঁধে রেখে মারধর, অত্যাচার করা হয়। সকালে কাকদ্বীপ থানার পুলিশ (Kakdwip Police Station) গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে। যদিও এই ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
একেক পর এক নারী নির্যাতনের অভিযোগ! অশান্ত মণিপুরে (Manipur) দুই মহিলাকে গণধর্ষণের পর বিবস্ত্র করে এলাকায় ঘোরানোর ভাইরাল ভিডিও ঘিরে উত্তাল গোটা দেশ। অমানবিক এই ঘটনায় নিন্দায় যখন সর্বত্র প্রতিবাদের ঝড়, তখনই সামনে আসছে রাজ্যের একেক পর এক নারী নির্যাতনের অভিযোগ! মালদা, কোচবিহারের পর এবার মহিলা নির্যাতনের ছবি সামনে এসেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপে। রাতভর বেঁধে রেখে মারধর। বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরে রাতভর অত্যাচার।
স্থানীয় সূত্রে খবর, নারায়ণপুর তৃতীয়ঘেরি এলাকার বাসিন্দা ওই মহিলা। স্বামী মৎস্যজীবী, অধিকাংশ সময় বাড়িতে থাকেন না। প্রতিবেশীদের দাবি, স্বামীর অনুপস্থিতিতে প্রতিবেশী এক যুবকের সঙ্গে মহিলার বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক তৈরি হয়। মঙ্গলবার রাতে এলাকার ওই যুবককে মহিলার ঘরে হাতেনাতে ধরা হয়।
বাসিন্দাদের নীতি-পুলিশি! এরপরই শুরু হয় এলাকার বাসিন্দাদের নীতি-পুলিশি! যুবক ও মহিলাকে রাতভর বাড়ির বাইরে পিলারে বেঁধে রেখে শুরু হয় মারধর। দীর্ঘক্ষণ দু’জনকে বেঁধে রেখে মারধরের পাশাপাশি চলে কটূক্তি। ঘটনা জানাজানি হতে এলাকায় ভিড় করেন বহু মানুষ। প্রতিবেশীদের দাবি, এর আগে বিষয়টি মিটমাট করার জন্য গ্রামে সালিশি সভাও বসানো হয়। কিন্তু পুলিশে খবর না দিয়ে, কীভাবে গ্রামের মোড়লরা সালিশি সভা করলেন? কীভাবে আইন হাতে তুলে নিয়ে মারধর করা হল মহিলা ও তাঁর প্রেমিককে? প্রশ্ন উঠছে। শেষমেশ, বুধববার সকালে কাকদ্বীপ থানার পুলিশ গিয়ে অভিযুক্তদের উদ্ধার করে।
গত ১৮ জুলাই মালদার বামনগোলায় ২ মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধরের ঘটনা ঘটে। সেই ধটনায় রিপোর্ট তলব করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। ওই দিনই কোচবিহারে নবম শ্রেণির ছাত্রীকে অপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি ছিল নাবালিকা। এদিন সকালে তার মৃত্যু হয়।
এবার লজ্জার ছবি কাকদ্বীপে। এসডপিও কাকদ্বীপ প্রসেনজিৎ বন্দ্য়োপাধ্যায় জানিয়েছেন, গ্রামবাসীরা কেন আইন নিজেদের হাতে তুলে নিলেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পরিবারের অভিযোগ পেলে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হবে।