রঞ্জিত সাউ, নরেন্দ্রপুর (দক্ষিণ ২৪ পরগনা): অন্য চিকিত্সকের রেজিস্ট্রেশন নম্বর ব্যবহার করে চিকিত্সা করার অভিযোগ। পুলিশের জালে ভুয়ো চিকিত্সক। দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Pargana) নরেন্দ্রপুর থানা (Narendrapur Police Station) এলাকার ঘটনা। ধৃতের নাম অশোক মণ্ডল। স্থানীয় সূত্রে খবর, বছর তিনেক আগে রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে লস্করপুরে বাড়ি ভাড়া করে চেম্বার খুলে বসেন ওই ব্যক্তি। অভিযোগ, প্রতিদিন মত্ত অবস্থায় চেম্বারে আসা ও রোগীদের গালিগালাজ করায় সন্দেহ হয় এলাকাবাসীর। আজ সকালে চেম্বার ঘেরাও করেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ। অভিযুক্তের বয়ানে অসঙ্গতি মেলায় তাঁকে গ্রেফতার করে।
অশোক মণ্ডল নামে এক ভুয়ো চিকিৎসক দীর্ঘদিন ধরে অন্য চিকিৎসকের রেজিস্ট্রেশন ব্যবহার করে রমরমা ব্যবসা ফেঁদেছিলেন বলে অভিযোগ। লস্করপুর এলাকায় একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে লাইফ ক্লিনিক নামে এখানে চেম্বার চালাতেন অভিযুকিত। বিষয়টি জানাজানি হতেই মঙ্গলবার সকালে ক্লিনিকের বাইরে ভিড় জমাতে থাকে এলাকার মানুষ। ঘটনাটি ঘটে রাজপুর সোনারপুর পুরসভার ৩১ নম্বর ওয়ার্ড লস্করপুর এলাকায়।
এলাকাবাসীরা আরও অভিযোগ জানান, মদ্যপান করে ক্লিনিকে আসতেন এই চিকিৎসক। এর পরই মহিলাদের সঙ্গে অভব্য আচরণ করেন বলেও অভিযোগ। ফোন করেও বিভিন্ন মানুষকে বিরক্ত করার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। এদিন এলাকার মানুষরা জোট বেঁধে হাজির হন চেম্বারের সামনে। খবর দেওয়া হয় নরেন্দ্রপুর থানায়। নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ এসে অশোক মণ্ডল নামে এই ভুয়ো ডাক্তারকে গ্রেফতার করে।
কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে গ্রেফতার ভুয়ো চিকিত্সক: গত ৭ জুন, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে গ্রেফতার ভুয়ো চিকিত্সক। অভিযোগ, সাদা অ্যাপ্রন পরে অভিযুক্ত বিভিন্ন আশ্বাস দিয়ে রোগীর পরিজনদের থেকে টাকা আদায় করত। আজ অভিযুক্তকে জরুরি বিভাগে দেখে সন্দেহ হয় স্বাস্থ্যকর্মীদের। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার হয় অভিযুক্ত।
সর্ষের মধ্যেই ভূত! খাস কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে গ্রেফতার অভিযুক্ত ভুয়ো চিকিৎসক। কিন্তু, কীভাবে খাস মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসক পরিচয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছিলেন এই যুবক? হাসপাতাল সূত্রে খবর, মঙ্গলবার দেখা যায় মেডিক্যালের জরুরি বিভাগে সাদা অ্যাপ্রন পরে চিকিত্সকের চেয়ারে বসে আছেন ওই যুবক। সেখানে বসেই হম্বিতম্বি করছিলেন। রোগীর আত্মীয়দের নানা পরামর্শ দিচ্ছিলেন। এ সব দেখে সন্দেহ হয় স্বাস্থ্যকর্মীদের। তাঁরা পুলিশকে খবর দেন।
প্রথমে পুলিশ শেখ সানোয়ার হোসেন নামে হাওড়ার আমতার বাসিন্দা ওই যুবককে আটক করে। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বউবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করলে খতিয়ে দেখা হয় সিসি ক্যামেরার ছবি। তারপরই গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে। কিন্তু ভুয়ো চিকিত্সক পরিচয়ে কেন হাসপাতাল চত্বরে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন অভিযুক্ত? এতে তাঁর আর্থিক লাভ কী?