শান্তনু নস্কর, ঝড়খালি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: হোক না সুন্দরবনের বাঘ, তারও তো গরম লাগে। বৈশাখে প্রকৃতি যেভাবে চোখ রাঙাচ্ছে, নিস্তার নেই সুন্দরবনের কেঁদো বাঘেরও। সেই বাঘের ত্রাতা বনবিভাগের কর্মীরা। স্নানের জন্য বাথটাব, খাওয়ার জন্য মিষ্টি জল। ব্যবস্থা হচ্ছে সব কিছুরই।
কোথায় এত ব্যবস্থা?
দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঝড়খালিতে গড়ে তোলা হয়েছে বনবিভাগের ব্যাঘ্র পুনর্বাসন কেন্দ্র। এখন যার নাম সুন্দরবন ওয়াইল্ড অ্যানিমাল পার্ক (WILD ANIMAL PARK)। সেখানেই রাখা হয় অসুস্থ বাঘদের। শুশ্রূষা করা হয়। ভরা বৈশাখে বাংলায় আগুন ঝড়াচ্ছে প্রকৃতি। একাধিক জেলায় তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি। দক্ষিণ ২৪ পরগনাতেও তুঙ্গে গরম। এই সময়েই ওই পার্কে রয়েছে দুটি বাঘ ও একটি বাঘিনী। প্রবল গরমে তাদের সুস্থ রাখতে একাধিক পদক্ষেপ করছেন বনবিভাগের কর্মীরা।
কী কী পদক্ষেপ?
প্রতিদিন নিয়ম করে সেখানে থাকা দুটি বাঘ ও একটি বাঘিনীকে খাওয়ানো হচ্ছে ওআরএস মেশানো জল। প্রতিদিন প্রায় ৭-৮ লিটার জল খাওয়ানো হচ্ছে। তার সঙ্গেই দেওয়া হয়েছে যাবতীয় ওষুধ। গরমের জন্য খাবারের মেনুও বদলে গিয়েছে। এখন প্রতিদিন ৫-৬ কেজি করে মোষের মাংস খাওয়ানো হচ্ছে বাঘগুলিকে। এলাহি ব্যবস্থা করা হয়েছে স্নানের জন্যও। দুটি বাঘের পরে বাথটাব বসানো হয়েছে। একটি বাঘের ঘরে খনন করা হয়েছে পুকুর। প্রতিটি বাথটাব এবং পুকুরেই দেওয়া আছে মিষ্টি জল। জলের মানের দিকেও নজর রাখা হচ্ছে। প্রত্যেক দিন পাল্টানো হচ্ছে জলাধারের সেই জল। গরম থেকে বাঁচতে সেই বাথটাব ভরসা ডোরাকাটার। মাঝে মধ্যেই সেই বাথটাবে শরীর ডুবিয়ে বসে থাকতে দেখা যাচ্ছে বাঘগুলিকে। এতেই শেষ নয়। রয়েছে কৃত্রিম বৃষ্টির ব্যবস্থাও। পাইপের সাহায্যে জল ছিটিয়ে বৃষ্টির মতো করে দেওয়া হচ্ছে বাঘের গায়ে। রাখা হয়েছে বিরাট সাইজের ফ্যান। দিনে তিন বার করে স্নান করানো হচ্ছে প্রচন্ড গরমের হাত থেকে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারকে বাঁচাতে।
আরও পড়ুন: " ওদের মতো দায়িত্বজ্ঞানহীন হতে পারব না", ইউক্রেন ফেরত পড়ুয়াদের নিয়ে কেন্দ্রকে তোপ মমতার