হিন্দোল দে, দক্ষিণ ২৪ পরগনা :  ফের উত্তপ্ত হল কুলতলি।  তুমুল উত্তেজনা ছড়াল এলাকায়। পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করল উত্তেজিত জনতা। বিক্ষোভের জেরে ফিরতে হল পুলিশকে। রাস্তা অবরোধ করে তুমুল বিক্ষোভ দেখাল গ্রামবাসীরা। এসডিপিও-কে ধাওয়া করল স্থানীয়রা। পুলিশকে ঘিরে ফেটে পড়ল সাধারণ মানুষের রাগ। ঘরের মেয়ের বিচার না পাওয়া অবধি চলবে বিক্ষোভ, জানালেন গ্রামবাসীরা।  চটি উঁচিয়ে পুলিশের দিকে ধেয়ে গেল তারা। গাড়িতে থাকা পুলিশকর্মীদের হাত ধরে টানাটানিও শুরু হয়ে যায়। সব মিলিয়ে ফের অগ্নিগর্ভ কুলতলি। 


জয়নগরে বালিকাকে ধর্ষণ খুনের অভিযোগের ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবিতে দেহ নিয়ে প্রতিবাদ জানান বাসিন্দারা। রাস্তা আটকে বিক্ষোভে দেখান তাঁরা। বালিকার দেহ শেষকৃত্য়ের জন্য় পাঠানোর পর বিচারের দাবিতে বারাসাত থেকে মহিষমারি যাওয়ার রাস্তায় অবরোধ করেন তাঁরা। দেখানো হয় বিক্ষোভ। 

ঘটনার দিনও এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকাল দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে জয়নগরের মহিষমারি এলাকা। পুলিশকে ঝাঁটাপেটা থেকে শুরু করে মহিষমারি পুলিশ ফাঁড়ি ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। পাল্টা কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ।তারপর থেকেই থমথমে মহিষমারি বাজার এলাকা। দোকানপাট খুললেও, রাস্তায় লোকজনের সংখ্যা কম। টহল দেয় পুলিশ। প্রতিটি মোড়ে বসানো হয় পুুলিশ পিকেট। 


শনিবার ৯ বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগকে কেন্দ্র করে শনিবার তুলকালাম পরিস্থিতি তৈরি হয় জয়নগরের মহিষমারি এলাকায়। পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠে গাফিলতির অভিযোগ। গতকাল কল্যাণী JNM হাসপাতালে ময়নাতদন্ত হয় বালিকার। অন্য়দিকে কলকাতা হাইকোর্ট প্রশ্ন তোলার পর, গতকালই এই ঘটনায় পকসো ধারা যুক্ত করে পুলিশ।    


এর আগে, শনিবার বিকেলে জয়নগরকাণ্ডের আঁচ এসে পড়ে মমিনপুরের কাটাপুকুর মর্গেও। নিহত ছাত্রীর মৃতদেহ এসে পৌঁছতেই তৈরি হয় উত্তেজনা। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন বিজেপি ও DYFI কর্মী-সমর্থকরা। সেই ঘটনায় দক্ষিণ বন্দর থানায় দুটি মামলা রুজু হয়। সেখানে DYFI-এর রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্য়ায়, SFI নেত্রী দিপ্সীতা ধর, বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল ও প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল-সহ বেশ কয়েকজনের নাম রয়েছে।


আরও পড়ুন : আজই বোধন বেলুড় মঠে, জেনে নিন কুমারী পুজো থেকে সন্ধি পুজোর দিনক্ষণ