জয়দীপ হালদার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: দক্ষিণ ২৪ পরগনার (south 24 pargana) মন্দিরবাজারের দিগবেড়িয়া। সোমবার সেখানকারই একটি জলাভূমিতে এক মহিলা ও বছরখানেকের এক শিশুকন্যার দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে। সন্দেহের বশেই জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়েছিল ওই মহিলার স্বামীকে (husband)। দফায় দফায় জেরায় বেরিয়ে এল শিউড়ে ওঠার মতো ঘটনা। গ্রেফতার (arrest) করা হয়েছে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে।
নিহত মহিলার নাম তুহিনা বিবি। বয়স ২৩ বছর। ওই শিশুকন্যাও তাঁরই সন্তান। পুলিশের দাবি, জেরায় জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত স্বামী খুনের ঘটনা স্বীকার করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, জেরায় জানা গিয়েছে অভিযুক্তের দুটি বিয়ে। সোমবার ডাক্তার দেখানোর নাম করে ডেকে আনা হয়েছিল শিশু-সহ ওই মহিলাকে। তারপরেই তাঁদের খুন (murder) করে অভিযুক্ত। জেরায় উঠে আসে আরও একটি চমকপ্রদ তথ্য। জানা গিয়েছে, নিহত মহিলা অভিযুক্তের দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী এবং ওই শিশুকন্যা অভিযুক্তেরই সন্তান। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মন্দিরবাজারে এই জোড়া হত্যাকাণ্ডে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে গোটা এলাকায়।
নিহত মহিলার পরিবারের দাবি, মন্দিরবাজারের আজিজুল জমাদারের সঙ্গে বছর চারেক আগে বিয়ে হয়েছিল তুহিনার। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই আজিজুলের দুই স্ত্রীর মধ্যে ভয়ানত অশান্তি হতো। যার জেরে অধিকাংশ সময়েই বাপের বাড়িতেই থাকতেন তুহিনা। সপ্তাহখানেক আগে অসুস্থ হয়ে পড়ে তুহিনার সন্তান। সেই কথা আজিজুলকে জানিয়েছিলেন তুহিনা।
নিহতের বাবা ইদুস আলি মোল্লার অভিযোগ, 'আমার মেয়েকে জামাই মেরে দিয়েছে। প্রায়শই গোলমাল হতো, ডাক্তার দেখাবে বলে ডেকে নিয়ে গিয়ে মেরে দিয়েছে।' তারপরেই আজিজুলকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার কিনারা হয়।
কেন দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীকে এমনভাবে খুন করল অভিযুক্ত? পিছনে কী পারিবারিক অশান্তি? নাকি রয়েছে অন্য কোনও কারণ? তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় অভিযুক্তের প্রথম পক্ষের স্ত্রীর কোনও হাত ছিল কিনা, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ফোন না করায় 'মারধর', কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে অভিযোগ কর্মীর