সুদীপ চক্রবর্তী, উত্তর দিনাজপুর: চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলার সময় হঠাৎ কেটে গিয়েছিল ফোন। এরপর চেয়ারম্যানকে ফের ফোন না করায় নিজের ঘরে ডেকে এনে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল পুর পারিষদের বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থল উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ পুরসভা (Raiganj municipality)। তৃণমূলের পুর পারিষদের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ রায়গঞ্জ পুরসভার চুক্তিভিত্তিক কর্মীর। অভিযোগ অস্বীকার অভিযুক্ত নেতার।


উত্তর দিনাজপুরের (north dinajpur) রায়গঞ্জ পুরসভায় এমন অভিযোগ ওঠায় চাঞ্চল্য। আক্রান্ত চুক্তিভিত্তিক কর্মীর আনন্দ মৈত্র ভর্তি হাসপাতালে। তাঁর অভিযোগ, সোমবার পুরপ্রধান সন্দীপ বিশ্বাস তাঁর মোবাইলে ফোন করেছিলেন। পুরপ্রধানের সঙ্গে কথা বলার সময় হঠাৎই ফোন কেটে যায়। তারপর ফোন সুইচ অফ হয়ে যাওয়ায় পুরপ্রধানের সঙ্গে আর কথা বলা হয়নি। ওই কর্মীর অভিযোগ, এরপর মঙ্গলবার পুর পারিষদ অভিজিৎ সাহা তাঁকে নিজের ঘরে ডেকে পাঠান। সেখানে প্রথমে গালাগালি করা হয় তাঁকে। তারপরে মারধর (beating) করা হয় বলে অভিযোগ আক্রান্ত কর্মীর।


রায়গঞ্জ পুরসভার চুক্তিভিত্তিক কর্মী আনন্দ মৈত্র বলেন, 'অভিজিৎবাবু ঘরে ডেকে পাঠান। আমি যাই। প্রথমেই উনি গালাগালি শুরু করেন। তখন প্রতিবাদ করায় আমায় মারধর করেন।' এই ঘটনার পর রায়গঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই চুক্তিভিত্তিক কর্মী। যদিও মারধরের অভিযোগ মানতে নারাজ পুর পারিষদ।


অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা এবং পুর পারিষদ অভিজিৎ সাহা বলেন, 'আমাদের একটা মিটিং চলছিল। সেখানে ওর কাজের কিছু হিসেব চাওয়া হয়েছিল। এই নিয়ে বচসার সময় ও আমার কলার চেপে ধরে। অন্যান্যরা ছাড়িয়ে দেয়। কিছু লোক আছে যাঁরা থানায় অভিযোগ করতে ভালবাসেন। পুরোটাই ভিত্তিহীন অভিযোগ।'


এমন ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। বিষয়টি তিনি শুনেছেন বলে জানিয়েছেন রায়গঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, 'অভিযোগ পাল্টা অভিযোগের কথা শুনেছি। আমি রায়গঞ্জে নেই। রায়গঞ্জে ফিরে বিষয়টি খতিয়ে দেখব।' এই ঘটনায় তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের তরফেও থানায় (police) একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।


আরও পড়ুন: ৩৬০০ লিটার ভেজাল কেরোসিন তেল উদ্ধার, গ্রেফতার ২