রঞ্জিত হালদার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: নরেন্দ্রপুরে (Narendrapur) জগদীশপুরে গৃহবধূর (Housewife) ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা। খুন সন্দেহে স্বামী ও শাশুড়িকে গাছে বেঁধে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল মৃতের আত্মীয়দের বিরুদ্ধে। স্বামী ও শাশুড়িকে আটক করেছে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ।


স্ত্রী বিবাহ বহির্ভূত (Extramarital Affair) সম্পর্কে জড়িয়েছেন! স্রেফ এই সন্দেহের বশে বধূকে খুন করে। ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার এই ঘটনা ঘিরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুরে তুলকালাম পরিস্থিতি তৈরি হয়। লোকজন নিয়ে মৃত বধূর শ্বশুরবাড়িতে চড়াও হন তাঁর আত্মীয়রা।
 
অভিযুক্ত স্বামী ও শাশুড়িকে গাছে বেঁধে চলে বেধড়র মারধর। বছর দশেক আগে শিলিগুড়ির (Siliguri) বাসিন্দা পূজা শর্মার সঙ্গে বিয়ে হয় নরেন্দ্রপুরের সুনীল শর্মার। পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই, সন্দেহের বশে স্ত্রীকে মারধর করতেন সুনীল। 


বুধবার রাতে শ্বশুরবাড়ি থেকে বছর ৩৪-র পূজার ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। প্রতিবেশীদের দাবি, বুধবার স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তুমুল অশান্তি চলছিল।


প্রতিবেশী কবিতা ঘোষের কথায়, প্রায়ই মারধর করত। আমরা প্রতিবাদ করলে আমাদের বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যে অভিযোগের হুমকি দেওয়া হত। আমরা গতকাল রাতে ওর চিৎকার শুনেছি। পূজার পরিবারের অভিযোগ, তাঁদের মেয়েকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। 


যদিও, মৃতার স্বামীর দাবি, তাঁর স্ত্রী আত্মঘাতী হয়েছেন। মৃতের মা অনীতা শর্মার কথায়, বিয়ের পর থেকেই অত্যাচার চলত। মেয়ে ফোনে জানাত। হাত-পা বেঁধে মারধর করত। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক আছে বলে অকারণ সন্দেহ করত।


আরও পড়ুন: Canning Triple Murder: ক্য়ানিংয়ে নিহতরা আগেই প্রাণের আশঙ্কা করেছিলেন, দাবি তৃণমূল মুখপাত্রের


মৃত গৃহবধূর স্বামী সুনীত শর্মার কথায়, আমি খুন করেনি। ও গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। মৃতার স্বামী ও শাশুড়িকে গাছে বেঁধে বেধড়ক মারধর করেন আত্মীয়রা। বধূর পরিবারের তরফে নরেন্দ্রপুর থানায় স্বামী ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।