শান্তনু নস্কর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বাসন্তীতে তৃণমূল কর্মী জানে আলম গাজির খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Pargana) ক্যানিং (Canning) থেকে গ্রেফতার করল পুলিশ (Police)। গত ২০ অগাস্ট বাসন্তীর আনন্দবাদ গ্রামে খুন হন জানে আলম গাজি। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ছিল মনিরুল মোল্লা। ঘটনার পর থেকেই ফেরার ছিল মনিরুল। গতকাল গভীর রাতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এই ঘটনায় আগে ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।  


উল্লেখ্য, গত ২০ আগস্ট বাসন্তীর ভরতগর গ্রাম পঞ্চায়েতের আনন্দবাদ গ্রামে জানে আলম গাজি নামে এক তৃণমূল কর্মীকে প্রকাশ্যে দিবালোকে বুকের মধ্যে বল্লম গেঁথে খুন করার অভিযোগ উঠেছিল যুব তৃনমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। নিহত ওই তৃণমূল কর্মীকে যুব তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী মনিরুল মোল্লার বাড়ির মধ্যে ঢুকিয়ে নিয়ে গিয়ে খুন করা হয়েছিল। এই খুনের ঘটনায় মোট ৩০জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছিলো। এর মধ্যে মূল অভিযুক্ত ছিল এই মনিরুল মোল্লা। যদিও এই ঘটনার পর গা ঢাকা দিয়েছিল মনিরুল।


এই ঘটনার পর এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে এর আগে ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। কিন্তু মনিরুলকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ক্যানিং মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দিবাকর দাস নিজেই ক্যানিং থানার অন্তর্গত ধলিরবাটি গ্রাম থেকে মনিরুল মোল্লাকে গ্রেফতার করে। ধৃতকে গ্রেফতার করে ক্যানিং থানায় রাখা হয়।আজ অর্থাৎ শুক্রবার ধৃত মনিরুল মোল্লাকে আলিপুর আদালতে তোলা হবে। ধৃতকে ১৪দিনের পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার জন্য আবেদন জানানো হবে পুলিশ সূত্রে খবর। ভরতগরে তৃনমূল কর্মী খুনের ঘটনায় এখনো পর্যন্ত মোট এগারো জন কে গ্রেফতার করা হল। 


তবে এভাবে খুনের ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগে, গত  জুলাই মাসে  ক্যানিংয়ের গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় গুলি করে-কুপিয়ে হত্যা করা হয় তিন তৃণমূল নেতাকে। তাঁদের মধ্যে একজনের মুণ্ডচ্ছেদের চেষ্টাও করা হয়। এরপর বাসন্তীতে নৃশংসভাবে খুন করা হয় তৃণমূল কর্মীকে। চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যদিও যে যুব তৃণমূল নেতার বাড়িতে খুনের অভিযোগ উঠেছে, ঘটনার পর থেকে সেই মনিরুল মোল্লা বেপাত্তা ছিল। অবশেষে তাঁকেও গ্রেফতার করল পুলিশ।


আরও পড়ুন: নিয়োগ-দুর্নীতি চক্রে কি মিডলম্যানদের মাধ্যমেই লেনদেন? পিছনে কোন প্রভাবশালী?