পার্থ প্রতিম ঘোষ, হিন্দোল দে, রাজপুর : রাজপুরে আক্রান্ত কেন্দ্রীয় শুল্ক আধিকারিক। অটো চালকের সঙ্গে বচসা, কাস্টমস অফিসারের মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ। রাজপুরে নিজের ফ্ল্যাটেই আক্রান্ত কেন্দ্রীয় শুল্ক আধিকারিক। আবাসনে ঢোকার সময়ে তাঁর গাড়িতে ধাক্কা মারে একটি অটো, অভিযোগ আক্রান্ত আধিকারিকের। তারপরই বচসা হয় দু'পক্ষের মধ্যে, অভিযোগ কাস্টমস অফিসার প্রদীপ কুমারের। বচসার পর দলবল নিয়ে আবাসনে চড়াও হন অটো চালক অভিযোগ আধিকারিকের। কাস্টমস অফিসারের ফ্ল্যাটে ঢুকে তাণ্ডব চালায় ৫০ থেকে ৬০ জন। আবাসনের সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে অভিযুক্তদের ছবি। সোনারপুর থানায় অভিযোগ দায়ের আক্রান্ত অফিসারের, গ্রেফতার ১ অভিযুক্ত। 

Continues below advertisement

জিএসটি এবং কাস্টমসের আধিকারিক পদে কর্মরত এই ব্যক্তি। অভিযোগ, শতাধিক লোক চড়াও হয় তাঁর আবাসনে। নিজের ফ্ল্যাটেই আক্রান্ত হন কাস্টমস অফিসার প্রদীপ কুমার। আধিকারিক রাজপুরে নিজের আবাসনে ঢোকার সময় একটি অটো তাঁর গাড়িতে ধাক্কা মারে বলে অভিযোগ। এর পরেই দু'পক্ষের মধ্যে বচসা হয়। আর তারপর দলবল নিয়ে কাস্টমস অফিসারের আবাসনে চড়াও হন ওই অটোচালক। 

আক্রান্ত আধিকারিক বলছেন, 'মনে হয়েছিল আজ শেষ হয়ে যাব। লোহার গ্রিল ভেঙে, গেট ভেঙে, তালা ভেঙে ঢুকেছিল। আমায় মেরেছে। মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। স্ত্রী'কে ধাক্কা দিয়েছে। পুলিশ বলেছে বিসর্জনে ব্যস্ত আছি। আমাদের লোক নেই। আসছি। বলেছিলাম কেন্দ্রীয় পদে চাকরি করি। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।' সিসি ক্যামেরাতেও দেখা গিয়েছে প্রচুর লোক আবাসনে চড়াও হয়েছে। আবাসনের গেট নিরাপত্তারক্ষীরা বন্ধ রেখেছিলেন। সেই গেট জোর করে ভেঙে ঢুকে যায় একদল লোক। লিফটে করে চারতলায় উঠে যায়। সেখানে কোলাপসিবল গেট, ফ্ল্যাটের দরজা আটকে কোনওমতে বাঁচার চেষ্টা করছিলেন কাস্টমস অফিসার প্রদীপ কুমার। 

Continues below advertisement

কিন্তু কোলাপসিবল গেট ভেঙে, দরজা ভেঙে ফ্ল্যাটে ঢুকে পড়ে ওই উন্মত্ত লোকেরা। তাণ্ডব চালানো হয় প্রদীপ কুমারের ফ্ল্যাটে। উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা এই ব্যক্তি ৯ বছর ধরে কলকাতায় রয়েছেন কর্মসূত্রে। সেখানে নিজের ফ্ল্যাটের ভিতর তাঁকে এভাবে আক্রান্ত হতে হয়েছে। স্বভাবতই আতঙ্কে ভুগছেন আধিকারিক। তাঁকে মারধর করার পাশাপাশি ফ্ল্যাটে তছনছ চালানো হয়েছে। অভিযোগ, তাণ্ডবকারীরা তাঁর স্ত্রী'কেও ধাক্কা মেরেছে। রাস্তায় গাড়ি ওভারটেক করা নিয়ে সামান্য বচসা যে এভাবে ভয়ানক আকার নিতে পারে, তা দুঃস্বপ্নেও কল্পনা করেননি এই কাস্টমস অফিসার। তিনি এও অভিযোগ করেছেন যে, ঘটনার সময় বারবার পুলিশের ফোন করে সাহায্য চেয়েও তা পাননি তিনি। আক্রান্তের অভিযোগ, সোনারপুর থানার পুলিশের তরফে জানানো হয়, তাঁরা বিসর্জনের ব্যস্ত রয়েছেন, তাঁদের কাছে লোক নেই।