সুন্দরবন: আবারও সুন্দরবন ভ্রমণে এসে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের দর্শন পেলেন পর্যটকরা। শনিবার কলকাতা থেকে আগত একদল পর্যটক বসিরহাট রেঞ্জের বুড়ির ডাবরি এলাকায় ভ্রমণের সময় একটি বাঘকে জঙ্গলের পাড়ে বসে থাকতে দেখেন। দীর্ঘক্ষণ ধরে বাঘটি জঙ্গলের পাড়ে বসে ছিল। আর সেই সুযোগে বাঘের ছবি ক্যামেরা বন্দী করেন পর্যটকরা। সুন্দরবন ভ্রমণে এসে বাঘের দর্শন পেয়ে খুশি পর্যটক দলটি।


তবে এর আগে আতঙ্ক বাড়িয়েছিল বাঘের হানা। কখনও সুন্দরবনের (Sundarban) এদিক, কখনও সুন্দরবনের ওদিক। আজ কুলতলি তো কাল পাথরপ্রতিমা। সুন্দরবনের একের পর এক জায়গায় লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে বাঘ। কিন্তু কেন এমন হচ্ছে? স্থানীয় বাসিন্দাদের কিছু কাজকর্মকেই কারণ হিসেবে তুলে ধরছে বনদফতর। বাঘকে আটকাতে জঙ্গল লাগোয়া জাল রয়েছে, সেগুলি কেটে ফেলে স্থানীয়রা নিজেদের বিপদ নিজেই ডেকে আনছে বলে জানাচ্ছে বনদফতর। 


কখনও মৈপীঠ, কখনও বা পাথরপ্রতিমা (Patharpratima)। যেখানে সন্ধে হয় সেখানেই বাঘের ভয়। বাঘের ভয়ে কার্যত সিঁটিয়ে রয়েছে সুন্দরবন। গত এক মাসে একাধিকবার লোকালয়ে ঢুকে পড়েছে বাঘ। কখনও পায়ের ছাপে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। কখনও বাঘের গর্জনের জন্য রাতে আতঙ্কে সিঁটিয়ে ছিলেন বাসিন্দারা। অথচ গতবছর শীতে এই পরিস্থিতি ছিল না। বন দফতর জানাচ্ছে, গত বছর শীতের মরসুমে সুন্দরবনে একটাও বাঘ লোকালয়ে ঢোকেনি। কিন্তু এবার ডিসেম্বরে ছবিটা একেবারে অন্যরকম। 


উল্লেখ্য, আলিপুরদুয়ারের ৪৮ ঘণ্টা পরপর ফের বাঘের দর্শন মিলেছিল! বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পে (Buxa Tiger Reserve) আবারও নতুন একটি বাঘের ছবি ট্র‍্যাপ ক্যামেরায় ধরা পড়ে বলে জানায় বন দফতর। যদিও তারিখ বা সময় তাঁরা জানাননি।


তবে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের পশ্চিম বিভাগের পানা রেঞ্জ এলাকায় দেখা যায় বলে জানানো হয় এবং এটা একটা প্রাপ্ত বয়স্ক বাঘ বলে দাবি করেন তাঁরা। একাধিকবার এই ছবি বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পে উঠে আসায়, তা যে বাঘের বাসস্থানের যোগ্য বলেই প্রমাণ করে, দাবি বক্সার বনাধিকারিকদের। উল্লেখ্য, এর পূর্বে ২০২১ সালের ১১-ই ডিসেম্বর পাওয়া যায় ট্র‍্যাপ ক্যামেরায় ধরা পড়া ছবি। প্রায় ২৩ বছর পর সরাসরি বাঘের উপস্থিতির ছবি ছিল সেটা। তারপর প্রায় ২ বছরের মাথায় আবার নতুন একটা বাঘের ছবি ধরা পড়ায় স্বস্তির হাওয়া বক্সার বনকর্তাদের।