দক্ষিণ ২৪ পরগনা: কুলতলিতে অবশেষে ধরা পড়ল বাঘ। ধানখেতে লুকিয়ে ছিল সেই রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার! এই আতঙ্কে ঘুম উড়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (south 24 pargana) মৈপীঠ থানা এলাকার গ্রামবাসীদের। বাঘ (tiger) ধরতে পাতা হয়েছিল খাঁচা। ঘুম পাড়ানি বন্দুক নিয়ে তৈরি বন কর্মীরা। 


সাতসকালে একঝলক দেখা দিয়েই ভ্যানিশ! নিমেষেই পাকা ধানের খেতে মিশে গেল হলুদ-ডোরাকাটা শরীরটা! যার জেরে আতঙ্কে সিঁটিয়ে ছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার মৈপীঠ থানা এলাকার ভুবনেশ্বরী গ্রামের বাসিন্দারা। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, মঙ্গলবার সকালে চাষের কাজে গিয়ে ধান খেতের মধ্যে বাঘ দেখতে পান ২ জন। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় বন দফতর ও স্থানীয় থানায়। 


বাঘের হানা থেকে গ্রামবাসীদের বাঁচাতে জাল দিয়ে ধান খেত ঘিরে দেন বনকর্মীরা। বাঘ ধরার জন্য পাতা হয়েছে খাঁচা। আচমকা ধান খেত থেকে বেরিয়ে বাঘ যাতে কারোর উপর হামলা করতে না পারে, তার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে ঘুম পাড়ানি বন্দুক। কিন্তু, ধান খেত থেকে বেরিয়ে যদি অন্য কোথাও লুকিয়ে থাকে বাঘ? আতঙ্ক কাটছিল না গ্রামবাসীদের। 


উল্লেখ্য, সুন্দরবনে বাঘের সঠিক সংখ্যা কত তা জানতে আরও একবার সুন্দরবনের জঙ্গলে ক্যামেরা বসাতে চলেছে বন দফতর। সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প ও ২৪ পরগণা বনবিভাগ দুই জায়গাতেই ক্যামেরা ট্রাপিং এর মাধ্যমে এই ‘টাইগার এস্টিমেশান’ এর কাজ করবে বন দফতর।সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প এলাকায় প্রথম ক্যামেরা ট্রাপিংয়ের কাজ শুরু হবে। এই ক্যামেরা ট্রাপিংয়ের জন্য বনকর্মীদের ১০ টি বিশেষ দল তৈরি করা হচ্ছে যারা জঙ্গলের মধ্যে ক্যামেরা বসানোর কাজ করবেন। এক একটি দলে অন্তত ১২ থেকে ১৫ জন করে বনকর্মীরা থাকবেন বলে জানা গিয়েছে।এক একটি জায়গা চিহ্নিত করে সেখানে দুটি করে ক্যামেরা লাগানো হবে, যাতে সেই ক্যামেরার সামনে বাঘ এলে তার সামনে ও পিছনের দিকের ছবি তাতে ধরা পড়ে। নির্দিষ্ট সময় পর সেই সব স্বয়ংক্রিয় ক্যামেরাগুলি খুলে নিয়ে তাতে ওঠা ছবি বিশ্লেষণ করে সুন্দরবনের সঠিক বাঘের সংখ্যা নির্ধারণ করবেন বিশেষজ্ঞরা।


 


আরও পড়ুন: ওমিক্রন আতঙ্কের মাঝেই করোনাগ্রাফে স্বস্তি, ১৮ মাসে সর্বনিম্ন দৈনিক সংক্রমণ