পার্থপ্রতিম ঘোষ, দক্ষিণ ২৪ পরগণা: এক মাসের মধ্যে সুন্দরবনে (Sundarban) চার-চারবার লোকালয়ে বাঘের হানা! তার রেশ কাটতে না কাটতেই কুলতলি বিটে বাঘ সুমারি ( Tiger Census ) শুরু করল দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা বন দফতর। কড়া নিরাপত্তার মধ্যে গতকাল থেকে শুরু হল ট্র্যাপ ক্যামেরা পাতার কাজ।
বনবিবির পুজো দিয়ে শুরু হল বাঘ সুমারি। ঘণ্টা বাজিয়ে বনবিবির পুজো । দক্ষিণ রায়ের বাহনকে চিহ্নিত করতে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলি বিটে ট্র্যাপ ক্যামেরা পাততে শুরু করলেন বনকর্মীরা। এই ট্র্যাপ ক্যামেরার নজরদারিতেই চলবে বাঘ গণনা। বন দফতর সূত্রে খবর, দেশজুড়ে বাঘ সুমারি ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে।
ব্যাঘ্রকূলে কুলীন রয়্যাল বেঙ্গলের (Royal Bengal Tiger) ডেরা হল এই সুন্দরবন । যা ৪ হাজার ৬৮৬ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ জঙ্গল এলাকার মধ্যে রয়েছে সুন্দরবন ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্র। সেখানে বাঘ সুমারি শুরু হয়েছে আগেই। এবার কুলতলি বিটের ৩টি রেঞ্জে বাঘ সুমারির জন্য ট্র্যাপ ক্যামেরা পাততে শুরু করল দক্ষিণ পরগনা জেলা বন দফতর। বন দফতর সূত্রে খবর, ১৬৮০ বর্গ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে ১৬১ জোড়া ট্র্যাপ ক্যামেরা বসানো হচ্ছে। শতাধিক বনকর্মী ৮টি দলে ভাগ হয়ে ট্র্যাপ ক্যামেরা বসাচ্ছেন।
৩৫ দিন বসানো থাকবে ট্র্যাপ ক্যামেরা (Trap Camera)। সম্প্রতি এক মাসের মধ্যে সুন্দরবন এলাকার লোকালয়ে চারবার হানা দিয়েছে রয়্যাল বেঙ্গল। দক্ষিণরায়ের বাহনের দেখা মিলছে মৈপীঠ , কুলতলি, কুমিরমারি, গোসাবায়। খাবারের খোঁজেই কি বারবার লোকালয়ে আসছে বাঘ? বন দফতর সূত্রে খবর, জঙ্গলে নিজের ডেরায় বাঘ পর্যাপ্ত খাবার পাচ্ছে না কিনা, তারও একটা আভাস মিলতে পারে এই সব ট্র্যাপ ক্যামেরার মাধ্যমে। লেন্সবন্দি হবে হরিণ বা বনবিড়ালের মতো প্রাণীও। মূলত মানুষের হাঁটুর উচ্চতায় বসানো হচ্ছে ট্র্যাপ ক্যামেরা।
বন দফতর সূত্রে খবর, বাঘের ছবি যাতে ভাল ভাবে লেন্সবন্দি হয়, তার জন্য ট্র্যাপ ক্যামেরার কাছাকাছি খাবার রাখা থাকবে। শেষ বাঘ সুমারি অনুযায়ী সুন্দরবনে এখন বাঘের সংখ্যা মোট ৯৬। তার মধ্যে ২০টি বাঘিনী।