রঞ্জিত হালদার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: দাম্পত্য অশান্তির (Marital Discord) জেরে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে সোনারপুর থানার পুলিশ (Sonarpur Police Station)। মৃতের নাম কাশ্মীরা খাতুন। স্থানীয় সূত্রে খবর, বছরখানেক আগে সোনারপুরের মকগ্রামপুরের বাসিন্দা আরবান লস্করের সঙ্গে বিয়ে হয় বারুইপুরের কাশ্মীরা খাতুনের। বিয়ের পর থেকেই সাংসারিক কারণে অশান্তি শুরু হয়। তার জেরেই গতকাল কাশ্মীরাকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ।


হরিদেবপুরে অয়ন মণ্ডল খুনের তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য 
পুলিশ সূত্রে খবর, ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিও ও ছবি তোলাকে কেন্দ্র করেই বান্ধবী ও তাঁর মায়ের সঙ্গে গণ্ডগোলের সূত্রপাত অয়নের। তাই পরিকল্পনা করেই খুন করা হয় ওই তরুণকে, অনুমান পুলিশের। পুলিশ সূত্রে খবর, বান্ধবীর বাড়ির দোতলার ঘরে খুন হন অয়ন। অথচ ফরেন্সিক পরীক্ষায় এক ফোঁটা রক্তের নমুনা মেলেনি। খুনের পর শুধু দেহ লোপাট নয়, মুছে ফেলা হয় রক্তের দাগ। পুলিশ সূত্রে খবর, দশমীর রাতে অয়ন যখন বান্ধবীর বাড়িতে যান, তখন বাড়িতে একাই ছিলেন বান্ধবীর মা। তাঁর সঙ্গে অয়নের হাতাহাতি হয়। এরপরেই বাড়িতে আসেন অয়নের বান্ধবী, তাঁর বাবা, ভাই ও বন্ধুরা। এরপরই অয়নকে মারধর করা হয় বলে পুলিশের অনুমান। 


দেহ লোপাটের পরিকল্পনা
খুনের পর অয়নের দেহ লোপাটের পরিকল্পনা করে বান্ধবীর বাবা। পুলিশের দাবি, ‘দুই বন্ধুকে ডেকে পাশের নির্মীয়মাণ বহুতল থেকে ত্রিপল দিয়ে মোড়া হয় দেহ। তারপর মিনিডোরে করে হরিদেবপুর থেকে মগরাহাটে নিয়ে যাওয়া হয় মৃতদেহ। মৃতদেহ লোপাটের আগে অয়নের মোবাইল সুইচড অফ করে ফেলা হয় জলাশয়ে। বিষ্ণুপুরের নেপালগঞ্জে জলাশয়ে ফেলা হয় অয়নের মোবাইল ফোন। ওড়িশায় আত্মীয়ের বাড়িতে গা ঢাকা দেয় নিহতের বান্ধবীর ভাইয়ের এক বন্ধু ! 


এদিকে, হুগলির জাঙ্গিপাড়ায় নিখোঁজ নাবালিকার মৃতদেহ উদ্ধারের পর, এবার তার সাইকেলের খোঁজে তল্লাশি। আশপাশের জলাশয়ে ডুবুরি নামিয়ে খোঁজ চালাচ্ছে হুগলি জেলা গ্রামীণ পুলিশ। ড্রোন উড়িয়ে চলছে তল্লাশি। পরিবারের দাবি, দশমীর দিন সাইকেল নিয়ে বেরিয়েছিল ১২ বছরের বালিকা। দেহ উদ্ধার হলেও তার সাইকেলের খোঁজ মেলেনি। পুলিশ জানিয়েছে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে জানা যাবে নাবালিকার মৃত্যুর কারণ।