শান্তনু নস্কর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: পঞ্চায়েত ভোটের আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবায় প্রকাশ্যে চলে এল তৃণমূলের কোন্দল। দলেরই সংখ্যালঘু সেলের নেতার বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ করলেন তৃণমূলের ব্লক কার্যকরী সভাপতি। অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের নেতা।
২০১১ সালের আগে থেকেই দক্ষিণ ২৪ পরগনা তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি। গত বিধানসভা নির্বাচনে ভাঙড় বাজে ওই জেলার বাকি সবকটি বিধানসভা আসনেই জয়ী হয়েছে ঘাসফুল শিবির। তার আগের নির্বাচনে ভাঙড় বাদে, জেলার সবকটি বিধানসভা আসনই রয়েছে ঘাসফুলের দখলে। তারও আগে পঞ্চায়েত ও লোকসভা ভোটেও এই জেলায় ভাল ফল করেছিল তৃণমূল। কিন্তু আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটের আগে সেই জেলার গোসাবাতেই প্রকাশ্যে চলে এল শাসকের ঘরের কোন্দল।
কী অভিযোগ:
তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের নেতার বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ করলেন তৃণমূলের ব্লক কার্যকরী সভাপতি। যদিও সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের নেতা। সোমবার রাতে শম্ভুনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের কামাখ্যাপুর এলাকা থেকে ৪ দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে গোসাবা থানার পুলিশ। ধৃতদের কাছ থেকে দুটি দেশি বন্দুক, ৭ রাউন্ড গুলি ও দুটি বাইক উদ্ধার হয়েছিল। আর এই গ্রেফতারির ঘটনার সূত্র ধরেই দলের সংখ্যালঘু সেলের নেতার বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ এনেছেন গোসাবা ব্লক তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি সুবিদালি ঢালি। সুবিদানি বলেন, 'গতকাল কচুখালি গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় দিদির সুরক্ষাকবচ কর্মসূচিতে গিয়েছিলাম। আমার ২ নিরাপত্তারক্ষী ট্রেনিংয়ে গিয়েছিল। সেই সুযোগে খুনের পরিকল্পনা। আমি যেহেতু ব্লকের রাজনীতি করি, তাই আমাকে খুনের পরিকল্পনা। অজেতের ছায়াসঙ্গীদের ধরেছে।'
নিজেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের সহ সভাপতি দাবি করে যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন অজেত আলি তরফদার। দক্ষিণ ২৪ পরগনার তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের নেতা অজেত আলি তরফদার বলেন, 'আমি এরকম রাজনীতি করি না। মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে। সুবিদালির পাশে সাধারণ মানুষ নেই। যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তারা সুবিদালিরই লোক।' মৌখিক ভাবে খুনের চেষ্টার অভিযোগ করলেও, এখনও পর্যন্ত পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করেননি গোসাবা ব্লক তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি। তাঁর দাবি, আগেই দল ও পুলিশকে এবিষয়ে একাধিকবার জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনায় ৬ জনকে হেফাজতে নেওয়ার আর্জি, সিবিআইয়ের আবেদন খারিজ নিম্ন আদালতের