গৌতম মণ্ডল, মন্দিরবাজার: দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) মন্দিরবাজারে কলেজ ছাত্রীকে গণধর্ষণকাণ্ডে তিনদিনের মাথায় দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃত ২ জনকে আজই ডায়মন্ড হারবার মহকুমা আদালতে পেশ করা হবে। গতকাল একজনকে ডায়মন্ড হারবার, আরেকজনকে সংগ্রামপুর এলাকা থেকে পাকড়াও করা হয়। এর পাশাপাশি, গতকালই মন্দিরবাজার থানা এলাকার একটি রিসর্ট সিল করে দিয়েছে পুলিশ। ওই রিসর্ট থেকেই কলেজ ছাত্রী ও তাঁর বন্ধুকে জোর করে অটোতে তুলে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে দুই অভিযুক্তর বিরুদ্ধে। 


কলেজ ছাত্রীকে গণধর্ষণকাণ্ড: মন্দিরবাজারে কলেজছাত্রীকে রাস্তা থেকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ (Molestation allegation)। ছাত্রীর বন্ধুকে ঘরে তালাবন্ধ রেখে তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগ। পাশাপাশি ছাত্রীর আপত্তিকর ছবি তুলে ব্ল্যাকমেল করার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্তরা তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী বলেই অভিযোগ নির্যাতিতার পরিবারের। নির্যাতিতার অভিযোগ, গত বুধবার বন্ধুর সঙ্গে বেরিয়েছিলেন তিনি। সেখানে রাস্তায় তাঁর ওপর চড়াও হয় তৃণমূল আশ্রিত দুই দুষ্কৃতী। জোর করে অটোয় তুলে নিয়ে যাওয়া হয় একজনের বাড়িতে। অটোয় চাপিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় থেকে শুরু হয় মারধরের হুমকি। সেখানে বন্ধুকে একটি ঘরে আটকে রেখে জোর করে চলে গণধর্ষণ। পাশাপাশি আপত্তিকর অবস্থার ছবিও তুলে রাখার হয় বলেই অভিযোগ। এমনকি নির্যাতিতার অভিযোগ ঘটনার পর তাঁকে ও তাঁর বন্ধুকে মারধরও করে অভিযুক্তরা। এমনকি ঘটনার পর ছবি দেখিয়ে ব্ল্যাকমেল করে দাবি করা হয় অর্থও। পাশাপাশি ফোনে চলতে থাকে ক্রমাগত হুমকি। গোটা ঘটনার পর সেদিন রাতেই পুলিশের দ্বারস্থ হয় ওই কলেজছাত্রীর পরিবার। নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা তৃণমূল আশ্রিত। দুই অভিযুক্তের মধ্যে একজনের কাকা তৃণমূলের (TMC) নেতা। সেজন্যই ঘটনার পর থেকে পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্য়বস্থা নেয়নি বলেও অভিযোগ নির্যাতিতার পরিবারের।


গোটা ঘটনা নিয়ে তৈরি হয়েছে চাঞ্চল্য। লেগেছে রাজনৈতিক রংও। পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ বিজেপির। অভিযুক্তদের সঙ্গে দলের যোগ নেই, দাবি তৃণমূল বিধায়কের। বিজেপি নেতা পলাশ রাণা বলেছেন, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা গণধর্ষণ করেছে. গোটা ঘটনার পরও পুলিশ নিষ্ক্রিয়। মাননীয়ার কাছে আবেদন করব গোটা ঘটনা দেখার জন্য। পাল্টা তৃণমূল নেতা তথা বিধায়ক জয়দেব হালদার বলেছেন, যে মেয়েটিকে অত্যাচারের মুখে পড়তে হয়েছে সে আমাদের তৃণমূল পরিবারের সদস্য। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তারা দুষ্কৃতী। পুলিশ প্রয়োজনমতো ব্যবস্থা নেবে। গোটা ঘটনা ঘিরে রীতিমতো চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে গোটা এলাকায়। জানা গিয়েছে, পুলিশের (Police) পক্ষ থেকে গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এই মুহূর্তে দুই অভিযুক্ত পলাতক।              


আরও পড়ুন: Dengue Case: এক সপ্তাহে ডেঙ্গি আক্রান্ত প্রায় সাড়ে তিন হাজার, শীর্ষে কোন জেলা?