হিন্দোল দে, দক্ষিণ ২৪ পরগনা : দরজায় কড়া নাড়ছে পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election 2023)। আর তার কয়েক মাস আগে রাজ্যের জেলায় জেলায় অস্ত্র উদ্ধার জারি। ডানকুনি, শাসন, কলকাতার পর দক্ষিণ ২৪ পরগনার বকুলতলা থেকে অস্ত্র উদ্ধার। উদ্ধার ৪টি আগ্নেয়াস্ত্র, ৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ (Police)। গ্রেফতার করা হয়েছে ২ জনকে।


আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি বিক্রির জন্যই আনা হয়েছিল, খবর পুলিশ সূত্রের। কাদের কাছে অস্ত্র বিক্রি করার কথা ছিল, খতিয়ে দেখছে পুলিশ (Police)। আর ফের একবার অস্ত্র উদ্ধারের (Arms Recovered) পরই শুরু হয়েছে তীব্র রাজনৈতিক চাপানউতোর। পঞ্চায়েত ভোটের আগে যেভাবে একের পর এক অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে, তাতে সিঁদুরে মেঘ দেখছে সাধারণ মানুষ।


রাজনৈতিক চাপানউতোর


ফের একবার অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় রাজ্য সরকারকে নিশানা করেছে বিরোধীরা। সিপিএমের (CPM) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর আক্রমণ, গোটা রাজ্য কার্যত বারুপের স্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রী বগটুই কাণ্ডের পর দ্রুত অস্ত্র উদ্ধারের কথা বলেছিলেন। তাঁর কথা পুলিশ শুনছে না বা রাজ্যজুড়ে এত অস্ত্র, বোমা মজুত রয়েছে, যা উদ্ধার করা শেষ করা যাচ্ছে না।


রাজ্য বিজেপির (BJP) মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যও কার্যত একই সুরে অস্ত্র উদ্ধার নিয়ে রাজ্যের শাসকদলকে নিশানা করেছেন। পাশাপাশি আগামী পঞ্চায়েত ভোট নিয়েও প্রকাশ করেছেন আশঙ্কা। পাল্টা তৃণমূল (TMC) নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেছেন, ক্রমাগত অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনাই প্রমাণ করে রাজ্য প্রশাসন সতর্ক রয়েছে। আর রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে অস্ত্র তো কেন্দ্রীয় বাহিনী নয়, উদ্ধার করছে রাজ্য পুলিশ। আসলে বিরোধীরা রাজ্যকে অশান্ত করতে চায়।



প্রসঙ্গত, গতকাল খাস কলকাতার আমর্হার্স্ট স্ট্রিট থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। আগ্নেয়াস্ত্র-সহ নিউ আলিপুরের বাসিন্দা অভিযুক্ত জয় চৌধুরীকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ (Kolkata Police STF)। ধৃতের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ৪টি আগ্নেয়াস্ত্র, ১০০ রাউন্ড সেভেন এম এম পিস্তলের কার্তুজ। উদ্ধার হয়েছে ১৬ হাজার টাকার জাল নোট। তার আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাশীপুর, মুর্শিদাবাদের ডোমকল, উত্তর ২৪ পরগনার শাসন থেকেও অস্ত্র উদ্ধার হয়েছিল।


আরও পড়ুন- ভাল নয় আর্থিক অবস্থা, বেশি ডিএ দিতে গেলে আসতে পারে আর্থিক বিপর্যয়, কার্যত মেনে নিল রাজ্য সরকার