রঞ্জিত হালদার, বারুইপুর: দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরে (Baruipur) নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল গৃহ শিক্ষকের বিরুদ্ধে। গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্তকে। পরিবারের অভিযোগ, বেশ কিছুদিন ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিল মেয়ে। মানসিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা শুরু হওয়ার পর বিষয়টি সামনে আস।
নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ: অভিযোগ, প্রায় চার মাস ধরে, যৌন হেনস্থা করা হচ্ছিল ওই নাবালিকাকে। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত পেশায় রেলের কর্মী। পাশাপাশি, রেলের সরকারি কোয়ার্টারেই শিক্ষকতা করতেন তিনি। অভিযোগ, সেখানেই নাবালিকাকে দীর্ঘদিন ধরে যৌন হেনস্থা করা হয়। নাবালিকার মায়ের দাবি, বেশ কিছুদিন ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিল তাঁর মেয়ে। এরপর মানসিক স্বাস্থ্য়কেন্দ্রে মেয়ের চিকিৎসা শুরু হওয়ার পর বিষয়টি সামনে আসে তাঁদের। বৃহস্পতিবার বারুইপুর থানায় অভিযোগ জানানো হয় নাবালিকার পরিবারের তরফে। রাতেই গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত গৃহশিক্ষককে।
তিলজলায় শিশুকন্যাকে ধর্ষণ-খুনের দোষীকে গতকাল ফাঁসির সাজা দিয়েছেন আলিপুরের বিশেষ পকসো আদালতের বিচারক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য। গত বছর ২৬ মার্চ, তিলজলা থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় ৭ বছরের নাবালিকা। ওই রাতেই হাত-পা বাঁধা অবস্থায় তার বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার হয়। গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে। নৃশংস এই ঘটনার পর কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় তিলজলা এলাকা। ১৬ জুন চার্জশিট পেশ করে লালবাজার গোয়েন্দা বিভাগ। বুধবার অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে আলিপুরের বিশেষ পকসো আদালত। দোষীর উদ্দেশে বিচারক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য বলেন, "এটা নৃশংস অপরাধ। খুন করতে একাধিক উপায় নেওয়া হয়। হাতুড়ি দিয়ে মারা হয়। মাথা ঠুকে দেওয়া হয়। ঘরে থাকা একাধিক জিনিস ব্যবহার করা হয়। এটা অমানবিক ও নৃশংস হত্যাকাণ্ড। এধরনের অপরাধ খুব একটা দেখা যায় না। প্রথম থেকে দোষীর উদ্দেশ্য ছিল অপরাধ করা ও পালিয়ে যাওয়া। তাকে সংশোধন করা যাবে না। এই অপরাধ বিরল নয়, বিরলতম। সাংঘাতিক ও নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ড।'' এরপরই ফাঁসির সাজা ঘোষণা করেন বিচারক।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।