রঞ্জিত হালদার, বারুইপুর: বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগ। সেই নিয়ে চরম অমানবিক আচরণ। নাবালিকাকে ডেকে নিয়ে গিয়ে চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠল প্রেমিক এবং তাঁর মায়ের বিরুদ্ধে। চোখের সামনে সেই অমানবিক ঘটনা দেখেও চুপ করে থাকলেন স্থানীয়রা। কেউ বাধা দিলেন না। বরং গোটা ঘটনাক্রম ক্যামেরাবন্দি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ সামনে আসছে (Baruipur News)। 


দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরে এমনই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ (South 24 Parganas News)। বারুইপুরের মল্লিকপুরের ঘটনা। সেখানে ১৭ বছরের এক কিশোরীর সঙ্গে এই অমানবিক আচরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে মেয়েটির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয় অভিযুক্ত প্রেমিক। বিয়ে করতে বলায় মিথ্যা অপবাদ পর্যন্ত দেওয়া হয়। তাতেও শেষ হয়নি হেনস্থা।


মেয়েটির পরিবারের অভিযোগ, ওই কিশোরীকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে যান অভিযুক্ত ওই যুবক এবং তাঁর মা। সেখানে মেয়েটির চুল কেটে দেন তাঁরা সকলের সামনেই। কিন্তু চোখের সামনে তা ঘটতে দেখেও প্রতিবাদের সাহস দেখাননি মল্লিকপুরের বাসিন্দারা। বরং ওই অবস্থায় গোটা ঘটনা ক্যামেরাবন্দি করা হয়। ভিডিওটি পরে ভাইরাল করে দেওয়া হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। 


আরও পড়ুন: Panchayat Election 2023 : দিনহাটায় বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থীর বাড়ির সামনে থেকে উদ্ধার বোমা, আতঙ্ক পরিবারে !


বিষয়টি সামনে আসতেই নিন্দার ঝড় উঠেছে সর্বত্র। বিষয়টি পুলিশের কানেও পৌঁছয়। অভিযুক্ত যুবক এবং তাঁর মাকে গ্রেফতার করেছে মল্লিকপুর ফাঁড়ির পুলিশ। নাবালিকা ওই মেয়েটির দাবি, বছর দুয়েক আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই যুবকের সঙ্গে আলাপ তার। সেখান থেকে ঘনিষ্ঠতা, বিয়ের প্রতিশ্রুতি এবং শারীরিক সম্পর্ক। কিন্তু বিয়ের কথা উঠলে বেঁকে বসেন ওই যুবক। উল্টে মিথ্যে অপবাদ দেওয়া হয় তাঁকে। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।


প্রেমের সম্পর্কের জের! বিষ্ণুুপুরে খুন তরুণী ও জেঠিমা


অন্য দিকে, প্রেমের সম্পর্কে টানাপোড়েনের জেরে ভয়ঙ্কর ঘটনর সাক্ষী রইল দক্ষিণ ২৪ পরগনারই বিষ্ণুপুর থানার হাটখোলা নুর্সিদারচক গ্রামের মানুষ। সেখানে এক কলেজ ছাত্রী এবং তাঁর জেঠিমাকে খুনের অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, পাশের গ্রামের ওই যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল বছর ১৯-এর কিশোরীর। গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে ওই কিশোরী এবং তাঁর জেঠিমা নিখোঁজ ছিলেন। 


শুক্রবার সকালে বাড়ির পাশের পুকুরে প্রথমে জেঠিমার দেহ ভেসে ওঠে। তাঁর মাথায় ঘাতের চিহ্ন ছিল। ওই ছাত্রীর খোঁজ মেলেনি তখনও পর্যন্ত। তাঁর মোবাইল ফোনটি বন্ধ পড়েছিল। পরিবারের তরফে থানায় ডায়েরি করা হয়। তার পর সন্ধেয় ওই পুকুরেই ভেসে ওঠে তাঁর মৃতদেহ। পরিবারের অভিযোগ, প্রায়শই ফোন করে মৃত কিশোরীকে জ্বালাতন করতেন ওই যুবক। অন্য এক যুবকের সঙ্গে তরুণীর ঘনিষ্ঠতার কথাও কানে পৌঁছয় অভিযুক্তের। সেই থেকেই তিনি মেয়েটি এবং তাঁর জেঠিমাকে খুন করেন বলে অভিযোগ পরিবারের।