রঞ্জিত হালদার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা : নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ তৃণমূল (TMC), তাও গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনে অশান্তি ! খোদ তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধেই বহিরাগতদের নিয়ে অশান্তি করার অভিযোগ উঠেছে বারুইপুরে।গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান পদ নিয়ে তৃণমূলের অন্দরেই 'দ্বন্দ্ব' প্রকাশ্যে চলে আসে। অশান্তির অভিযোগ নিয়ে প্রতিক্রিয়া মেলেনি তৃণমূল বিধায়ক বিভাস সর্দারের।


বারুইপুরের (Baruipur) বেগমপুর গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূল একাই ১৪টি আসনে জয়ী হয়েছে। বাকি ২টি আসনে একটি করে জয়ী বিজেপি ও নির্দল প্রার্থী। বিধায়কের বিরুদ্ধে বহিরাগতদের নিয়ে পঞ্চায়েত অফিসে চড়াও হওয়ার অভিযোগ। বিধায়কের বিরুদ্ধে দলীয় কর্মীদের ওপরই লাঠিচার্জ করতে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগ গন্ডগোলে জয়ী তৃণমূল প্রার্থী-সহ বেশ কয়েকজন আহত হন। 


গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান এবং উপপ্রধান কে হবেন, তা নিয়ে শুরু হয় অশান্তি। তৃণমূল কর্মীদের একাংশের অভিযোগ, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান নির্বাচিত না করে, স্থানীয় বিধায়ক পদাধিকারীদের নাম চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। এমনকি তৃণমূল কর্মীদের ওপরই লাঠিচার্জ করার জন্য নির্দেশ দেন পুলিশকে। এরপরই উত্তেজনা ছড়ায় পঞ্চায়েত অফিস চত্বরে। ভিড় হঠাতে লাঠি নিয়ে তেড়ে যায় পুলিশ। এদিনের ঘটনায় বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী আহত হন। যার মধ্যে রয়েছেন খোদ জয়ী তৃণমূল প্রার্থীও। স্থানীয় এক তৃণমূল কর্মীর দাবি, এমএলএ আমাদের ওপর জোর জবরদস্তি একটা চাপিয়ে দিচ্ছে। এ প্রধান হবে, এ উপপ্রধান হবে। বিভাস সর্দার চাপিয়ে দিচ্ছিল। আমরা সেটা চাইছিলাম না। এমএলএ-র নেতৃত্বে কিছু বাইরের লোক এসে মারদাঙ্গা করল। পুলিশকে বলল লাঠিচার্জ করার জন্য।


তৃণমূল কংগ্রেসের বারুইপুর পূর্বর ব্লক সভাপতি শ্যামসুন্দর চক্রবর্তী বলেছেন, 'কারও একটু প্রধান হওয়ার শখ ছিল। তারাই এসব করেছে। আমাদের এখানে গন্ডগোল হয়নি। যেভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, সেভাবেই হয়েছে'। এদিন বেগমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হন রেখা সর্দার। সূত্রের খবর, তিনি স্থানীয় তৃণমূল বিধায়কের অনুগামী।  


                                                                                         


আরও পড়ুন- মুর্শিদাবাদের পর এবার বাঁকুড়ার ৭ প্রাথমিক শিক্ষককে তলব !