শান্তনু নস্কর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: সাতসকালে মহিলার মুণ্ডহীন দেহ উদ্ধার বাসন্তীততে (Basanti News)। ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে এলাকায়। মহিলার পরিবারের দাবি, মৃতার স্বামী এবং তাঁর প্রথম পক্ষের স্ত্রী মিলে খুনের ঘটনা ঘটিয়েছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। আপাতত অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে। 


মাঠের মধ্যে মুণ্ডহীন দেহ মহিলার


দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas News) বাসন্তী থানার অন্তর্গত উত্তর মোকামবেড়িয়ার হাড়ভাঙ্গী গ্রামের ঘটনা। শনিবার সকালে মাঠের মধ্যিখানে মহিলার মুণ্ডহীন দেহটি পড়ে থাকতে দেখেন এলাকার মানুষজন। মাঠের পাশে পুকুরের পাড়ে পড়েছিল বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া মুণ্ডটি (Murder)। 


তাতে তড়িঘড়ি থানায় খবর দেন স্থানীয় মানুষজন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে বাসন্তী থানার পুলিশ। পৌঁছন ক্যানিংয়ের এসডিপিও। পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। মহিলার মৃত্যুতে আপাতত অস্বাবাবিক মৃত্য়ুর মামলা দায়ের করেছে তারা। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে (Crime News)। 


আরও পড়ুন: Paschim Medinipur : ন্যায্য ক্ষতিপূরণ ও চাকরির দাবি, নিখোঁজ ব্যক্তির স্ত্রী দাবি করে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি সবংয়ের মহিলার


মৃত মহিলার নাম তমিনা সর্দার বলে জানা গিয়েছে। বয়স ২৮ বছর। পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন, শুক্রবার রাতে খাওয়া-দাওয়া সেরে ঘুমোতে গিয়েছিলেন তমিনা। কিন্তু সকালে উঠে তাঁকে কেউ বাড়িতে দেখতে পাননি। খোঁজ খবর নিতে শুরু করলে, মাঠের মধ্যে মুণ্ডহীন দেহটি পড়ে থাকার কথা জানতে পারেন তাঁরা। 


মহিলার পরিবারের অভিযোগ, বছর খানেক আগে জাকির মোল্লার সঙ্গে বিয়ে হয় তমিনার। জাকিরের আগেও একবার বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু বনিবনা না হওয়ায় দু’জনের রাস্তা আলাদা হয়ে যায়। তার পর তমিনার সঙ্গে দ্বিতীয় বার বিবাহ সারেন জাকির। কিন্তু কিছু দিন আগে প্রথম পক্ষের স্ত্রী আবার জাকিরের কাছে ফিরে আসেন। তার পর থেকেই আর তমিনার সঙ্গে সংসার করতে চাইছিলেন না জাকির। বিবাহবিচ্ছেদের জন্য জোর করছিলেন। 


ব্যক্তিগত জীবনের ওঠাপড়াতেই খুন!


সেই নিয়ে অশান্তির জেরে বাপের বাড়িতে ফিরে আসেন তমিনা। কিন্তু সেখানও লাগাতার হুমকি পাচ্ছিলেন তিনি। জাকিরের প্রথম পক্ষের স্ত্রী এবং তাঁর বাড়ির লোকজন মিলে তমিনাকে হুমকি দিচ্ছিলেন, ডিভোর্স না দিলে প্রাণে মেরে ফেলবেন এমন হুমকিও দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ। জাকিরও ডিভোর্সের জন্য জোরাজুরি করছিলেন বলে জানা গিয়েছে। 


এর পর দু’দিন আগে তমিনার বাপের বাড়িতে জাকিরের প্রথম পক্ষের স্ত্রীর পরিবারের লোকজন এসে হাজির হন। তাঁরা তমিনাকে হুমকি দিয়ে যান বলে অভিযোগ। তার পরই শনিবার সকালে মুণ্ডহীন অবস্থায় দেহটি উদ্ধার হয়। জাকির, তাঁর প্রথম পক্ষের স্ত্রী ও তাঁর পরিবারের লোকজন মিলেি এই ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ মৃতার পরিবারের।