গৌতম মণ্ডল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা :  দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) বিষ্ণপুরে বুথ সভাপতিকে খুনের ঘটনায় নরেন্দ্রপুর থেকে এবার মূল ষড়যন্ত্রী-সহ ২ বিজেপি সমর্থককে গ্রেফতার (Arrest) করল পুলিশ (Police)। পুলিশের দাবি, তৃণমূল (TMC) বুথ সভাপতি সাধন মণ্ডলকে খুনের জন্য শার্প শ্যুটারকে সুপারি দিয়েছিল মূল ষড়যন্ত্রী।আর এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। 


শার্প শ্যুটারকে দিয়ে খুন তৃণমূল নেতাকে


বদলা নিতেই তৃণমূলের বুথ সভাপতিকে খুন। মূল ষড়যন্ত্রী সহ ২ বিজেপি সমর্থককে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশের দাবি, শার্প শ্যুটারকে সুপারি দিয়েছিলেন ধৃতরা। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরে ভর সন্ধেয় চায়ের দোকানে ঢুকে, শাসকদলের বুথ সভাপতিকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেয় ৩ দুষ্কৃতী! মৃত বছর ৩৪-এর সাধন মণ্ডল আঁধারমানিকের দুর্গাবাটি গ্রামের ২১৮ ও ২১৯ নম্বর বুথের সভাপতি ছিলেন। 


সেই ঘটনায় তদন্তে নেমে সম্প্রতি জলপাইগুড়ি থেকে উজ্জ্বল রায় নামে এক শার্প শ্যুটারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, তাঁকে জেরা করে নাম উঠে আসে শুভাশিস মণ্ডল ও সুকান্ত বৈদ্য নামে ২ বিজেপি সমর্থকের। এরপরই সোমবার রাতে নরেন্দ্রপুরের জামতলা থেকে ২ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। 


কিন্তু খুনের কারণ কী ?


তদন্তকারীদের দাবি, তৃণমূল বুথ সভাপতি সাধন মণ্ডলকে খুনের জন্য শার্প শ্যুটার উজ্জ্বল রায়কে ২ লক্ষ টাকা সুপারি দিয়েছিল মূল ষড়যন্ত্রী শুভাশিস। পুলিশ সূত্রে খবর, ২০১৩ সালে তৃণমূল বুথ সভাপতি আনন্দ পাত্র খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত ছিলেন তৃণমূল নেতা সাধন মণ্ডল। সেই খুনে নাম জড়িয়েছিল শুভাশিস ও সুকান্তরও। কিছুদিন জেল খেটে জামিন পেলেও সাধন মণ্ডলের বিরোধিতায় গ্রামে ঢুকতে পারছিলেন না তাঁরা। তার বদলা নিতেই তৃণমূলের বুথ সভাপতিকে খুনের ষড়যন্ত্র বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান। ডায়মন্ড হারবারের পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার বলেছেন, 'এতে রাজনৈতিক দলের ইন্ধন ছিল'।


এই বিষয় নিয়ে শুরু হয়েছে তীব্র রাজনৈতিক তরজা। ডায়মন্ড হারবার সাংগঠনিক জেলার মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী মনোমোহিনী বিশ্বাস বলেছেন, 'এই খুনে প্রথম থেকেই বলেছিলাম বিজেপি জড়িত।সন্ত্রাস সৃষ্টি করতে এলাকায় ঢুকতে চাইছিল'। পাল্টা ডায়মন্ড হারবার সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সহ সভাপতি সুফল ঘাঁটু বলেছেন, 'গ্রামে ঢুকতে পারছিল না। বিনাকারণে বিজেপিকে জড়ানো হচ্ছে।'


আরও পড়ুন- অনুব্রতকে নিয়ে দিল্লি পৌঁছল ইডি, স্বাস্থ্যপরীক্ষার পর রাতেই আদালতে পেশ