শান্তনু নস্কর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা : চিকিৎসায় গাফিলতিতে (Negligence in Treatment) প্রসূতির মৃত্য়ুর অভিযোগ। ঘটনা ঘিরে গতকাল রাতে অশান্ত হয়ে ওঠে ক্য়ানিং মহকুমা হাসপাতাল। মৃতার নাম অনিমা বিশ্বাস। তিনি ক্য়ানিং-এর বাসিন্দা। প্রসূতির পরিজনদের দাবি, গতকাল রাতেই এক কন্য়া সন্তানের জন্ম দেন তিনি। এরপরই অসুস্থ হয়ে পড়েন। মৃতার পরিবারের অভিযোগ, সেই সময় বারবার চিকিৎসক ও নার্সদের ডাকলেও, কেউ আসেনি। কিছুক্ষণের মধ্য়েই মৃত্য়ু হয় প্রসূতির।


এরপরই হাসপাতাল চত্বরে ক্ষোভে ফেটে পড়ে রোগীর আত্মীয়রা। নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে হাতাহাতি বেধে যায়। ক্য়ানিং থানার (Canning Police Station) বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গাফিলতির অভিযোগ নিয়ে প্রশ্ন করা হলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও উত্তর মেলেনি।


আরও পড়ুন- প্রাথমিকে ৩৬ হাজার অপ্রশিক্ষিত শিক্ষকের চাকরি বাতিল, ৩ মাসের মধ্যে নতুন নিয়োগ


কিছুদিন আগে চিকিৎসা করাতে গিয়ে হেনস্থার শিকার হওয়ার অভিযোগ উঠেছিল আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ (R G Kar Medical College and Hospital) হাসপাতালে। আশি ঊর্ধ্ব রোগিণীকে ট্রলি দেওয়া নিয়ে টালবাহানার প্রতিবাদ করায়, নিরাপত্তা রক্ষী ও পুলিশ কর্মীদের বিরুদ্ধে রোগিণীর আত্মীয়দের মারধরের অভিযোগ ওঠে। পরিবার সূত্রে খবর, মানিকতলার বাসিন্দা ওই রোগিণীর কোমরে গতকাল অস্ত্রোপচার হওয়ার কথা ছিল। অভিযোগ, রোগিণীকে ওটি-তে নিয়ে যাওয়ার জন্য ট্রলি পেতে হয়রানির শিকার হন আত্মীয়রা। এই নিয়ে বচসার জেরে, হাসপাতালের লিফটের মধ্যে রোগিণীর মেয়ে-জামাই ও নাতনিকে নিরাপত্তা রক্ষী, সিভিক ভলান্টিয়ার (Civic Volunteer) ও পুলিশ কর্মীরা মারধর করেন বলে অভিযোগ। রোগিণীর এক আত্মীয়ের কথায়, 'ট্রলি চাওয়া নিয়ে টালবাহানা শুরুর পর অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা শুরু হয়। লিফটের মধ্যে ফেলে পরিবারের লোকজনকে মারধর করা হয়। সঙ্গে হুমকি দিতে থাকে তোমরা কিছুই করতে পারবে না।' টালা থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। আরজি কর হাসপাতাল ও পুলিশের (Police) তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। .


আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?


এদিকে, গত ডিসেম্বরে চিকিত্‍সায় গাফিলতিতে রোগী মৃত্যুর অভিযোগে SSKM হাসপাতালে ধুন্ধুমার (SSKM Hospital) হয়েছিল। ট্রমা কেয়ার সেন্টারে ৪ জন চিকিত্‍সককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ ওঠে মৃতের আত্মীয়দের বিরুদ্ধে। রোগীর মৃত্যুর পরই আত্মীয়রা চড়াও হন ট্রমা কেয়ার সেন্টারে। অভিযোগ, শুধু চিকিত্‍সদের মারধরই নয়, ভাঙচুর করা হয় হাসপাতালের ভিতরেও। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি করেছিল, চেয়ার টেবিলের পাশাপাশি, ভাঙা হয় এক্স রে মেশিনের ভিউয়ার।  ট্রমা কেয়ার সেন্টারে ভাঙচুর চালানো হয়। যে ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এই ঘটনায় পাঁচ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে ভবানীপুর থানার পুলিশ।