শান্তনু নস্কর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: সওকত মোল্লাকে (Saokat Molla) খুনের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে (Conspiracy of Murder) এ বার রাস্তায় নামল তৃণমূল (TMC)। চক্রান্তকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তুলল দল। বঁটি, কাটারি, ঝাঁটা হাতে জীবনতলা বাজারে মিছিল করলেন দলের মহিলা শাখার সদস্যরা। এই ঘটনায় ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্টের (ISF) হাত রয়েছে বলে অভিযোগ। যদিও শাসকদলের অভিযোগ অস্বীকার করেছে আইএসএফ।


পুরভোটের আবহে ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি তাঁকে খুনের চক্রান্ত চলছে বলে অভিযোগ করেন ক্যানিং পূর্বের (Canning News) বিধায়ক সওকত। তিনি জানান, আইএসএফ আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁর উপর হামলা চালাতে পারে। তাঁকে খুন করতে ৬ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ভাড়াটে খুনিও নিয়োগ করা হয়েছে বলে দাবি করেন। অভিযোগ দায়ের হয় জীবনতলা থানাতেও।


সওকতের অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই এক আইএসএফ নেতা-সহ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের কড়া শাস্তির দাবিতেই পথে নামেন তৃণমূলের মহিলা শাখার সদস্যরা। যদিও আইএসএফ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।


তবে সওকতের দাবি, তাঁকে হত্যার পরিকল্পনা চলছে বলে প্রথমে জানতে পারেন তাঁর এক অনুগামী। 


আরও পড়ুন: Municipality election: 'আমরা ভয়ে আছি রাজ্য পুলিশ দিয়ে ভোট করলে অবাধ শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে কিনা' বক্তব্য সুকান্ত মজুমদারের।


দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas News) অন্যতম দাপুটে তৃণমূল নেতা সওকত মোল্লা। সিপিএম থেকে জোড়াফুল শিবিরে যোগ দেন তিনি। তার পর যত সময় এগিয়েছে, ততই বাংলার রাজনীতিতে ক্রমশ উত্তরণ ঘটেছে সওকতের। ফোনে সে কথা জানতে পারেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের দ্বারস্থ হন তিনি। এর পিছনে বিজেপি-রও হাত থাকতে পারে বলে সন্দেহ তাঁর। 


শুধু ক্যানিং পূর্বই নয়, আশেপাশের একাধিক বিধানসভায় সওকতের দাপট রয়েছে। বিধানসভা নির্বাচনের পরই আইএসএফ প্রধান আব্বাস সিদ্দিকিকে তীব্র আক্রমণ করেন সওকত। সেই সময় তাঁর বক্তব্য ছিল, “ভণ্ড আব্বাস সিদ্দিকি যে খেলা খেলতে চেয়েছিল, ওকে ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে বুঝে নেব।”