জয়দীপ হালদার, রায়দিঘি: বাড়িতে এসে বোমা-বন্দুক (Bomb and arms) দেখিয়ে সিপিএমের (CPIM) পঞ্চায়েত সদস্যকে (Panchayat member) অপহরণের (Kidnap) অভিযোগ উঠল। শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) রায়দিঘির (Raidighi) রাধাকান্তপুর (Radhakantapur) গ্রাম পঞ্চায়েতের ভদ্রপাড়া এলাকায়। অপহরণের অভিযোগে সিপিএম কর্মী-সমর্থকরা রাধাকান্তপুরে পথ অবরোধ (Road blockade) করে বিক্ষোভ (Agitation) দেখান। পরে পুলিশ (Cops) গিয়ে অবরোধ তুলে দেয়। সিপিএমের অভিযোগ, এই কাণ্ড ঘটিয়েছে তৃণমূল আশ্রিত দুস্কৃতীরা। যদিও সিপিএমের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল (TMC)। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, লিখিত অভিযোগ এখনও দায়ের হয়নি।
দক্ষিণ ২৪ পরগনায় একমাত্র রাধাকান্তপুর গ্রাম পঞ্চায়েতটি সিপিএমের দখলে রয়েছে। সেই পঞ্চায়েতের সিপিএম সদস্যার অপহরণের অভিযোগ উঠল। অপহৃত সিপিএমের পঞ্চায়েত সদস্যার নাম রেণুকা নাইয়া। তিনি পেশায় আশাকর্মী। বাড়ি রায়দিঘির গিলারছাঁট এলাকায়। পরিবারের অভিযোগ, শনিবার সকালে বাড়িতে আসেন তিন অপরিচত মহিলা। তাঁরা ওষুধ চাইলে দরজা খুলে বাইরে বেরোন রেণুকা। বাইরে চারজন দুষ্কৃতী লুকিয়ে ছিল। তারা আগ্নেয়াস্ত্র ও বোমা দেখিয়ে সিপিএমের পঞ্চায়েত সদস্যাকে অপহরণ করা হয়। পরিবারের সদস্যদের আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে হুমকি দেওয়া হয়।
খবর পেয়ে শনিবার সন্ধেবেলা দলীয় পঞ্চায়েত সদস্যার বাড়িতে যান সিপিএম নেতা কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। অপহরণের নেপথ্যে তৃণমূলের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ সিপিএমের। কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের দাবি, ‘পঞ্চায়েতে অনাস্থা আনবে, তাই তুলে নিয়ে গেছে।’
তৃণমূল কংগ্রেস অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। মথুরাপুর ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি ও তৃণমূল নেতা জয়ভূষণ ভাণ্ডারীর দাবি, ‘যে ঘটনার কথা বলা হচ্ছে, তাতে তৃণমূলের কোনও হাতে নেই। সিপিএমের নিজেদের গন্ডগোলে এই ঘটনা।’
আরও পড়ুন তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা, তার মধ্যেই মরিচঝাঁপি অভিযান বিজেপি-র
পুলিশ সূত্রে দাবি, এখনও কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। অভিযোগ করা হলে তদন্ত করা হবে।
রাধাকান্তপুর পঞ্চায়েতের ১৪টি আসনের মধ্যে সিপিএমের দখলে রয়েছে ৯টি। এসইউসিআই-এর হাতে রয়েছে ২টি আসন। তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে ৩টি আসন রয়েছে।