গৌতম মণ্ডল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: গভীর রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুরের ঘোড়াদল বাজারে বিধ্বংসী আগুন। ভস্মীভূত হয়ে যায় ৬টি দোকান।


রাত আড়াইটে নাগাদ ঘোড়াদল বাজারের একটি দোকানে প্রথমে আগুন লাগে। গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে আগুন ছড়িয়ে পড়ে পরপর কয়েকটি দোকানে। স্থানীয়দের অভিযোগ, জয়নগর থেকে দমকল পৌঁছতে একঘণ্টার বেশি সময় নেয় বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। দমকলের একটি ইঞ্জিনের ঘণ্টাচারেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও, সম্পূর্ণ পুড়ে যায় ৬টি দোকান। ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৫০ লক্ষ টাকার বেশি। শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগে বলে প্রাথমিক অনুমান দমকলের।


আনন্দপুরে আগুন: 
আনন্দপুরে মুন্ডা পাড়ায় আগুন, পুড়ে ছাই ঝুপড়ি। রান্না করার সময় সিলিন্ডার ফেটে দুর্ঘটনা। দমকলের বিরুদ্ধে দেরিতে আসার অভিযোগ স্থানীয়দের। রাস্তা খারাপ, তাই আসতে পারব না, এমন বলেছে দমকল, অভিযোগ এলাকাবাসীর।


গতকালই পূর্ব বর্ধমানের একটি দোকানে ভয়াবহ আগুন লাগে। গ্যাসের ওভেন, গ্যাস বার্নার সারাইয়ের দোকানে আগুন লেগেছিল। স্থানীয়দের একাংশ দাবি করেছেন, এক মহিলা একটি ছোট সিলিন্ডার নিয়ে ওই দোকানে যান। কোনও কাজের জন্য। তারপরেই হঠাৎ দেখা যায় সেই দোকানে আগুন লেগে গিয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, তারপরেই একের পর এক বিস্ফোরণের আওয়াজ আসে। মজুত থাকা সিলিন্ডার ফেটে এমন আওয়াজ শোনা গিয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের। বর্ধমান শহরের বড়নীলপুরে একটি ক্লাবের নীচে রয়েছে ওই দোকান। নীচের ঘরের জানলার ভিতর থেকে আগুনের হলকা বেরিয়ে আসতে দেখা যায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ বেশ কয়েকটি সিলিন্ডার বিস্ফোরণের শব্দ শোনে বলে অভিযোগ। এরপরেই এলাকায় আতঙ্ক ছড়ায়। দোকানে দাউদাউ করে আগুন জ্বলতে থাকে। আগুন নেভানোর জন্য নিজেরাই জল দিতে শুরু করেন স্থানীয়রা। কিন্তু তাতে বাগ মানেনি আগুন। খবর দেওয়া হয় দমকলে। কিছুক্ষণের মধ্যেই দমকল কর্মীরা এসে আগুন নেভাতে শুরু করে। ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আনে আগুন।


কয়েকদিন আগে হাওড়াতেও বড়সড় আগুন লেগেছিল। হাওড়ার ঘুসুড়িতে এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছিল। ঘুসুড়ি অটোস্ট্যান্ডের কাছে অবস্থিত ওই নির্মীয়মান বহুতল। সেখানে বাজার গড়ে ওঠার কথা। মধ্যরাতের কিছু পরে আচমকা আগুন ধরে গিয়েছিল ওই বহুতলে। ঢালাই হয়ে গিয়েছিল ওই বহুতলে। কাঠের তক্তা এবং বাঁশ লাগানো ছিল। তাতেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে বলে অনুমান। রাতের অন্ধকারে আগুনের লেলিহান শিখা দেখা আঁতকে ওঠেন স্থানীয় মানুষজন। আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। গভীর রাতেই দমকল বিভাগে খবর দেওয়া হয়। একে একে দমকলের মোট চারটি ইঞ্জিন এসে উপস্থিত হয় ঘটনাস্থলে। তত ক্ষণে স্থানীয় মানুষজনই বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসেন। দমকলে পাশাপাশি স্থানীয়রাও আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান। তার পরেও প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে এসেছিল আগুন।


আরও পড়ুন: নিকাশি নালা সংস্কার নিয়ে চরমে কোচবিহার পুরসভা এবং মিউনিসিপাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডাইরেক্টটরেটের বিরোধ