জয়দীপ হালদার, ডায়মন্ড হারবার: প্রকাশ্য দিনের আলোয় খুনের ঘটনা ঘটে গেল ডায়মন্ড হারবারের (Diamond Harbour) সরিষাহাটে। সেখানে ধারাল অস্ত্র দিয়ে খুন (Hacked to Death)করা হয় এক ব্যক্তিকে। পালানোর সময় দুষ্কৃতীদের মধ্যে এক জনকে ধরে ফেলেন স্থানীয়রা। গণপিটুনিতে (Mob Lynched) মৃত্যু হয় তাঁরও। সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরেই এই খুন বলে প্রাথমিক তদন্তে ধারণা পুলিশের।


এ দিন সকাল ৭টা নাগাদ ভয়ঙ্কর এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। সরিষাহাটে বাজারের মধ্যে এক ব্যক্তির উপর চড়াও হয় চার দুষ্কৃতীর একটি দল। ধারাল অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে ওই ব্যক্তিকে খুন করে তারা। এর পর  ঘটনাস্থল থেকে পালাতে গেলে দুষ্কৃতীদের মধ্যে এক জন স্থানীয়দের হাতে ধরা পড়েন। সেখানে গণপিটুনিতে মৃত্যু হয় তাঁর।


এই ঘটনায় এক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে ডায়মন্ড হারবার পুলিশ। সম্পর্ক নিয়ে বিবাদের জেরেই এই খুন বলে জানতে পেরেছে তারা। মৃত ব্যক্তি এবং হামলাকারীর পারিবারিক সংযোগ ছিল বলে জানা গিয়েছে।


আরও পড়ুন: Kamarhati Municipal Election : কামারহাটিতে কি বরফ গলল? হুডখোলা গাড়িতে প্রচারে পাশাপাশি সৌগত ও মদন-পুত্র


স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ এই ঘটনা ঘটে। ধারাল অস্ত্র নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা নুর সালাম বেগের উপর চড়াও হয় চার জন। তার পর এলেপোথাড়ি কোপানো হয় তাঁকে। রক্তাক্ত অবস্থায় নুরকে ফেলে রেখে এর পর পালাতে উদ্যত হয় দুষ্কৃতীর দল। সেই সময় শরিফুল মোল্লা নামের এক হামলাকারীকে ধরে ফেলেন স্থানীয়রা।


তার পর উত্তেজিত জনতা শরিফুলকে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। তাতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয় বলে জানা গিয়েছে। শরিফুল এবং নুর সম্পর্কে ভায়রাভাই বলে জানা গিয়েছে। পৈর্তৃক সম্পত্তি নিয়ে দুই বোনের পরিবারের মধ্যে বিবাদের জেরেই খুন বলে প্রার্থমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান। পরে অন্য এক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে ডায়মন্ড হারবার থানার পুলিশ।


এ দিকে, ডায়মন্ড হারবারে এই খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বাগদার বাসিন্দা নুর সালাম বেগ পাতড়া যুব তৃণমূলের প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি। খুনের পিছনে রাজনৈতিক শত্রুতাও থাকতে পারে বলে দাবি করেছে মৃতের পরিবার। বিজেপির দাবি, গোষ্ঠীকোন্দলের জেরেই খুন  হয়েছেন যুব তৃণমূলের প্রাক্তন নেতা। পারিবারিক বিবাদের জের, পাল্টা দাবি যুব তৃণমূল নেতৃত্বের।