গৌতম মণ্ডল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ইলিশ মাছ ধরতে গিয়ে মর্মান্তিক পরিণতি। দুদিন নিখোঁজ থাকার পর অবশেষে উদ্ধার মৃতদেহ (Fisherman Death)। মাছ ধরার সময় পা পিছলে পড়ে যান ওই মৎস্যজীবী। উপকূল রক্ষী বাহিনীর তৎপরতায় উদ্ধার করা হল মৎস্যজীবীর দেহ।
অবশেষে উদ্ধার মৃতদেহ: জম্বুদ্বীপ থেকে আরও গভীরে বঙ্গোপসাগরে ইলিশমাছ ধরার সময় ট্রলার থেকে পা পিছলে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হল এক মৎস্যজীবীর। গত দু'দিন নিখোঁজ থাকার পর, গতকাল উপকূল রক্ষী বাহিনী তল্লাশি চালিয়ে ফ্রেজারগঞ্জ থেকে ৭০কিমি দূরে সাগরের জল থেকে উদ্ধার করে মৎস্যজীবীর দেহ। দেহ উদ্ধারের পর হলদিয়া নিয়ে গিয়েছে উপকূল রক্ষী বাহিনী। দেহ ময়নাতদন্তের পর আজ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে। মৃত মোহন মাঝি (৫৫) কুলপির হাঁড়ার বাসিন্দা। ডায়মন্ড হারবার সুলতানপুর মৎস্যবন্দর থেকে এফবি বাবা লোকনাথ ট্রলারে চেপে ১৪ জন মৎস্যজীবী ইলিশ ধরতে গভীর সমুদ্রে পাড়ি দিয়েছিলেন। জানা গিয়েছে, গত ১১ জুলাই জম্বুদ্বীপ থেকে আরও গভীরে মাছ ধরার সময় পা পিছলে পড়ে যান ওই মৎস্যজীবী। নিখোঁজ হওয়ার পর মৎস্যজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে উপকূল রক্ষী বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। এরপরেই উপকূল রক্ষী বাহিনী আকাশ এবং জলপথে তল্লাশি শুরু করে।
চলতি মাসে সৌলাতে ফিশিং বোট উল্টে নিখোঁজ হয়ে যান একাধিক মৎস্যজীবী। পুলিশ সূত্রে দাবি করা হয়, গত ২ জুলাই সময় ওই নৌকাটি মাছ ধরতে যায়। বেড়ানোর পরে কুড়ি থেকে ২৫ কিলোমিটার যাওয়ার পরেই ঘটে এই দুর্ঘটনা। যে সময় এই ঘটনা ঘটে সেই সময় মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়া নিষেধাজ্ঞা ছিল। ঘটনার পরই তৎপুর হয় জুনপুট কোস্টাল থানা। পুলিশের পক্ষ থেকে খবর দেওয়া হয় উপকূল রক্ষী বাহিনীকে। প্রাথমিকভাবে ওই ফিশিং বোটের হদিশ মেলে। তার আগে সমুদ্র থেকে মাছ ধরে ফেরার সময় জলের হোসপাইপ ফেটে ডুবে যায় একটি ট্রলার। ঘটনাটি ঘটে বঙ্গোপসাগরে কেঁদো দ্বীপের কাছাকাছি। তবে ডুবে যাওয়া ট্রলারে থাকা ১৮ জন মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করা হয়।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: Electrocuted Death: টিউবওয়েলে স্নান করতে গিয়ে বিপত্তি, মর্মান্তিক পরিণতি যুবকের