হিন্দোল দে, দক্ষিণ ২৪ পরগনা : নরেন্দ্রপুরের পর এবার কাকদ্বীপ, ফের অ্যামোনিয়া গ্যাস লিক। ফের বরফ কল থেকে অ্যামোনিয়া গ্যাস লিক, ২ জন অসুস্থ। কাকদ্বীপের হরিপুর-দাসপাড়ায় বরফ তৈরির কারখানায় গ্যাস লিক করে সন্ধে নাগাদ। গ্যাস লিকের পরই এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। অ্যামোনিয়া গ্যাস লিক করে ২ জন স্থানীয় বাসিন্দা অসুস্থ।
পুলিশ সূত্রে খবর, সন্ধে সাড়ে ৭ টা নাগাদ স্থানীয় এক বরফ কল থেকে অ্যামোনিয়া গ্যাস লিক করে। যে খবর পেয়েই পৌঁছে যায় দমকল। যদিও অ্যামোনিয়া গ্যাস ছড়িয়ে ২ জন স্থানীয় বাসিন্দা অসুস্থ হয়ে পড়েন। ঘণ্টা তিনেকের চেষ্টার পর দমকলের পক্ষে গ্যাস লিক নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। পরিস্থিতি সামলে নেওয়ার পরও যেখান থেকে গ্যাস লিক করছিল, সেই জায়গা খতিয়ে দেখে দমকল। পুলিশও গোটা পরিস্থিতির এপর নজর রাখছে।
অসুস্থ দুই স্থানীয় বাসিন্দাকে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে চিকিৎসা কেন্দ্রে। স্থানীয়দের বক্তব্য দীর্ঘদিনের পুরনো এই বরফকল। পাশাপাশি তাঁদের অভিযোগ, রক্ষণাবেক্ষণের অভাবের জেরেই গ্যাস লিক করার এই দুর্ঘটনা।
দিন চারেক আগে কামালগাজিতে ঠান্ডা পানীয়র কারখানায় গ্যাস লিক করে বিপত্তি। তীব্র ঝাঁজালো অ্যামোনিয়া গ্যাস ছড়িয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন বেশ কয়েকজন। প্রায় তিন ঘণ্টার চেষ্টা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে দমকল। দমকলের ছাড়পত্র না পাওয়া পর্যন্ত কারখানা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে পুরসভা। গত সোমবার কামালগাজিতে ঠান্ডা পানীয়র কারখানা থেকে অ্যামোনিয়া গ্যাস লিক করে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়। চারপাশ ধোঁয়ায় ভর্তি হয়ে যায়। গলগল করে বেরোতে থাকে গ্যাস।
প্রসঙ্গত, সোমবার, বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ আচমকা গ্যাসের গন্ধ বেরোতে শুরু করে, তখন কারখানার ভিতরেই ছিলেন অনেক কর্মী। মুহূর্তের মধ্যে গলগল করে অ্যমোনিয়া গ্যাস বের হতে শুরু করে। তীব্র ঝাঁজালো গন্ধে শুরু হয় চোখ জ্বালা, শ্বাসকষ্ট। তড়িঘড়ি কারখানা থেকে বের করা হয় কর্মীদের। কিছুক্ষণের মধ্যেই এসে পৌঁছয় দমকলের ৪টি ইঞ্জিন। গ্যাসের তীব্রতা কমাতে জল স্প্রে করা হয়। প্রায় তিন ঘণ্টার চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। দমকলের থেকে ছাড়পত্র না পাওয়া পর্যন্ত আপাতত বন্ধ থাকবে পানীয়র কারখানা। যে ঘটনার কয়েক দিনের মধ্যেই ফের কাকদ্বীপে ঘটল গ্যাস লিকের ঘটনা।
আরও পড়ুন- সাপের কামড়ে মৃত্যু ছেলের, দাঁড়িয়ে থেকে বৌমার বিয়ে দিলেন শ্বশুর