গৌতম মন্ডল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা : পূর্ণিমার ভরা কটাল ও নিম্নচাপের জোড়া ফলায় আজও সকাল থেকে মেঘলা আকাশ দক্ষিণ ২৪ পরগনায় (South 24 Parganas)। সুন্দরবন (Sundarbans) উপকূলে দমকা বাতাস বইছে। কটালের জেরে আজও সুন্দরবন জুড়ে নদী ও সমুদ্রের জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা আছে। সমুদ্র উত্তাল থাকায় আজও মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। 


ক্ষতিগ্রস্ত নামখানা ও সাগর ব্লক


ইতিমধ্যেই বুধবারের জলোচ্ছ্বাসের জেরে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নামখানা ও সাগর ব্লক। নামখানার মৌসুনি ও ফ্রেজারগঞ্জের সমুদ্র বাঁধ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মৌসুনির বালিয়াড়া ও সল্টঘেরি এলাকায় প্রায় ৫০০ মিটার বাঁধ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ফ্রেজারগঞ্জের বিজয়বাটি এলাকায় বাঁধে ধস নেমেছে। এই বাঁধের বেহাল দশ। 


বাঁধ উপচে জল ঢুকেছে এলাকায়


অন্যদিকে সাগরের মুড়িগঙ্গা ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের চকফুলডুবি ও মন্দিরতলা এলাকায় নির্মীয়মাণ ক্রংক্রিট বাঁধে ধস নেমেছে। সাগরের বঙ্কিমনগর, মহিষামারিতেও বাঁধ উপচে জল ঢুকেছে এলাকায়। কাকদ্বীপের তিলকচন্দ্রপুরে মুড়িগঙ্গা নদীর বাঁধে ধস নেমেছে। কুলপির রামকিশোরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের হুগলী নদী তীরবর্তী বাঁধেও ধস নেমেছে। 


জোয়ারের জলে প্লাবন


বুধবার বেলায় জোয়ারের জলে প্লাবিত হয়ে যায় ডায়মন্ড হারবার কেল্লার মাঠের পিকনিক স্পট। নদীর গার্ডওয়াল টপকে হু হু করে জল ঢোকে। সামনে আরও বড় কটাল আছে। তার আগে বাঁধ মেরামতি না হলেও ভাসবে উপকূলের গ্রাম, চাষের জমি, মাছের পুকুর। অন্যদিকে জেলা প্রশাসনের নির্দেশে ইতিমধ্যে সেচ দফতরের কর্মীরা ভাঙন কবলিত সাগর ও কাকদ্বীপের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছেন। আবহাওয়ার উন্নতি হলে বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু করবে সেচ দফতর।


আরও পড়ুন, নিয়োগের দাবিতে আজ ফের চাকরি প্রার্থীদের বিক্ষোভ, ধুন্ধুমার সল্টলেকে


দুর্যোগের মাঝে কী পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের ?


প্রসঙ্গত, নিম্নচাপের জেরে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে ইতিমধ্যেই ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হয়েছে। বজ্রপাতের সম্ভাবনার জন্য নিরাপদে আশ্রয়ে থাকতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে হাওয়া অফিসের তরফে। এদিকে গভীর নিম্নচাপ এবং ভরা কটালের জোড়া ফলায় সমুদ্র ও নদীর জলস্তর বেড়েছে। উত্তাল হয়ে উঠেছে সমুদ্র। দিঘাতেও সতর্ক করা হয়েছে পর্যটকদের। উপকূল এলাকায় বেশ কিছু বাড়ি জলমগ্ন। যার জেরে আতঙ্কিত বাসিন্দারা। যদিও আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টি কমে আসবে দক্ষিণবঙ্গে। তাই নতুন করে প্রবল বর্ষণ শুরু না হলে এবং নদীর জলোচ্ছ্বাস কমে এলে, বিপদের আশঙ্কা কমবে এই জেলায়।