কলকাতা: সাতসকালে চাকরিপ্রার্থীদের (Job Seekers) বিক্ষোভ (Agitation) ঘিরে সল্টলেকে ধুন্ধুমার। গতকাল SLST চাকরিপ্রার্থীদের পর আজ পথে নামলেন ২০১৬-র উচ্চ প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীরা। দ্রুত নিয়োগের (Recruitment) দাবিতে সল্টলেকে আচার্য সদনের সামনে সকাল থেকে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। গেট ভেঙে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করেন চাকরিপ্রার্থীরা। নিরাপত্তা রক্ষীরা আটকে দেন। সেখানেই জামা খুলে গেঞ্জি পরে প্রতিবাদে বসে পড়েন তাঁরা।
রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতির জেরে ইতিমধ্য়েই একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য় তদন্ত সূত্রে উঠে এসেছে।হাইকোর্টের নির্দেশে অযোগ্যদের চাকরি বাতিলের নির্দেশ এসেছে। নতুন করে নিয়োগের কথাও উঠেছে। কিন্তু কবে তা প্রতিটা আদৌ ফলপ্রসু হবে, এটাই বড় প্রশ্ন চাকরি প্রার্থীদের। মাসের পর মাস অতিবাহিত হলেও নিয়োগ দুর্নীতির জালে আটকে একের পর এক ইস্যু।সদ্য SLST চাকরিপ্রার্থীও প্রতিবাদ জানিয়েছিল।বিরোধীদের বৈঠকের দিনেই রাজপথে নেমে প্ল্যাকার্ড হাতে প্রতিবাদ জানিয়েছিল এসএলএসটি চাকরি প্রার্থীরা। ব্যাঙ্গালোরে মোদি-বিরোধী মেগা বৈঠকের দিনেই তৃণমূল সরকারের উপর চাপ বাড়াতে নতুন রণকৌশল নিয়েছিল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ।
সম্প্রতি নিয়োগের দাবিতে কিড স্ট্রিটে বিধায়কদের হস্টেলের সামনে SLST চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। বিধানসভায় যাওয়ার পথে আটকে পড়েছিলেন বিধায়করা। 'বিধানসভায় মণিপুর নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। আলোচনা হচ্ছে অযোগ্য প্রার্থীদের নিয়ে। অথচ যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ নিয়ে বিধানসভায় চুপ বিধায়করা। বিধানসভায় নিয়োগের কথা তুলতে হবে', এই দাবিতে MLA হস্টেলের গেটের সামনে বসে পড়েছিল SLST চাকরিপ্রার্থীরা। বিক্ষোভ তুলতে এলে পুলিশের সঙ্গে প্রবল ধস্তাধস্তি হয়ে যায় তাঁদের। তারা বিক্ষোভকারীদের সরানোর চেষ্টা করে। কিন্তু, নিজেদের দাবিতে অনড় বিক্ষোভকারীরা সেখান থেকে সরতে চাননি। সেই সময় তাঁদের টেনে হিঁচড়ে প্রিজন ভ্য়ানে তোলা হয় পুলিশের তরফে। মহিলা বিক্ষোভকারীদের চ্যাংদোলা করে তুলে নিয়ে গিয়েছিল সেবার পুলিশ।
আরও পড়ুন, আগ্রায় বাড়ল পেট্রোল ও ডিজেলের দর, জ্বালানির দর কত আপনার শহরে ?
বিক্ষোভকারীদের মধ্যে একজনকে সেই সময় বিধায়কদের হস্টেলের গেটে মাথা ঠুকতে দেখা গিয়েছিল। 'আমরা নিয়োগ চাই', এই দাবি তুলে কেঁদেও ফেলেন বিক্ষোভকারীরা। রাস্তাতেই শুয়ে পড়েছিল। সেই সময় বিজেপির একাধিক বিধায়ককে গেটের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। তাঁরা রাজ্য সরকারের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেছিলেন। পুলিশ টেনে হিঁচড়ে বিক্ষোভকারীদের তুলতে থাকায় ক্ষোভপ্রকাশ করেছিলেন বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানা।