কলকাতা: ভাঙড় (Bhangar) আছে ভাঙড়েই। ভোট মিটলেও অশান্তি থামার নাম নেই। এবার চালতাবেড়িয়া পঞ্চায়েতের পানাপুকুর এলাকায় উদ্ধার হল রাশি রাশি অস্ত্র। গ্রেফতার করা হয়েছে বাবা-ছেলেকে। ওই বাড়িতেই কি অস্ত্র তৈরি হত? আর কারা যুক্ত ছিল? খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
ভোট মিটলেও অশান্তি থামার নাম নেই: বোমা ফাটার শব্দ এখন শোনা যাচ্ছে না। কিন্তু, ভয়ের ভাঙড়ে অব্যাহত অস্ত্রের ঝনঝনানি। ভাঙড়ের চালতাবেড়িয়া পঞ্চায়েতের পানাপুকুর এলাকায় হদিশ মিলল অস্ত্র ভাণ্ডারের। গ্রেফতার হলেন বাবা-ছেলে। আর তার সঙ্গেই ফের সামনে চলে এল তৃণমূল ও আইএসএফ-এর দ্বন্দ্ব।গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, রবিবার চালতাবেড়িয়ার বাসিন্দা শেখ করিমের বাড়িতে তল্লাশি চালায় কাশীপুর থানার পুলিশ। উদ্ধার হয় একটি পাইপগান, একটি দেশি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৬ রাউন্ড গুলি।এছাড়াও, ৫০ বান্ডিল সুতলি, স্প্লিন্টার, বোমা ও অস্ত্র তৈরির প্রচুর সরঞ্জাম উদ্ধার হয় ঘটনাস্থল থেকে বাড়ির মালিক শেখ করিম ও তাঁর ছেলে শেখ ইয়াসিনকে সঙ্গে সঙ্গেই গ্রেফতার করে পুলিশ।
বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠছে, ওই বাড়িতে কি অস্ত্র তৈরি হত?নাকি বাইরে থেকে আনা হত? কী উদ্দেশ্যে এত অস্ত্র রাখা হয়েছিল? বাবা-ছেলে বাদে আর কারা যুক্ত এই চক্রে? এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ভাঙড় ফের তেতে উঠেছে রাজনৈতিক সংঘাতে।ধৃতরা ISF-এর সক্রিয় কর্মী বলে দাবি করেছে তৃণমূল। পঞ্চায়েত ভোটে ভাঙড় যেন সন্ত্রাসের লীলাক্ষেত্র হয়ে উঠেছিল, মুড়ি মুড়কির মতো বোমা। গুলির শব্দ, একের পর এক খুন, মনোনয়ন থেকে গণনা, ভোট পর্বে শুধুমাত্র ভাঙড়েই ৭ জনের মৃত্য়ু হয়।কিন্তু, ভোটপর্ব চুকলেও, পঞ্চায়েত গঠন হয়ে গেলেও ভাঙড় আছে ভাঙড়ের। উদ্ধার হল রাশি রাশি বোমা, অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম।
পঞ্চায়েত ভোটের (panchayat election) আবহে জেলায় জেলায় অস্ত্র উদ্ধারের বহু ঘটনা নজরে আসে। যেমন গত জুলাই মাসের গোড়ায় মালদা থেকে অস্ত্র উদ্ধার হয়। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, মালদার রতুয়ার জাননগর গ্রামে অভিযান চালায় রাজ্য পুলিশের এসটিএফ। পাকড়াও করে অস্ত্র কারবারি সন্দেহে দু'জনকে গ্রেফতাও করা হয়। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় ৪টি অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র এবং ২৫ রাউন্ড কার্তুজ। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের একজন রতুয়া ও আরেকজন উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখরের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: Fraud Case: ঋণ দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগ, গ্রেফতার ৩