আবির দত্ত, কলকাতা: ঋণ দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগে পুলিশের জালে ৩ জন। ফিক্সড ডিপোজিটের নামে বহু গ্রাহক পিছু লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। শেক্সপিয়র সরণি থানায় অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার (Arrest) করা হয়েছে অভিযুক্ত সংস্থার ২ ডিরেক্টরকে।


পুলিশের জালে ৩ জন: ঋণ দেওয়ার নামে কোটি কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ। অভিযোগ পেয়ে ৩ জনকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশ। হোম লোন দেওয়ার নামে গ্রাহকদের সঙ্গে আর্থিক প্রতারণা করা হত বলে অভিযোগ বলা হত, লোন পেতে হলে কোম্পানির নামে করতে হবে ফিক্সড ডিপোজিট।  ফিক্সড ডিপোজিটের পরিমাণ কখনও বলা হত ১০ লক্ষ টাকা, কখনও বা ২০ লক্ষ টাকা।এভাবে প্রায় ৫০ জনের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা নিয়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। শেক্সপিয়র সরণি থানায় দায়ের হয় এফআইআর।

এরপরই, যে সংস্থার নামে অভিযোগ, সেই সংস্থার ২ জন ডিরেক্টর ও এক গাড়ির চালককে গ্রেফতার করে পুলিশ। নিউটাউন ও শেক্সপিয়র সরণিতে এই সংস্থার অফিস রয়েছে। কিন্তু ২০২২ সাল থেকে বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে অফিস। এই সংস্থার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে এফআইআরে নাম রয়েছে আরও বেশ কয়েকজনের। তাঁদের খোঁজও চালাচ্ছে পুলিশ।                       


এদিকে বড়বাজারের ওষুধ সরবরাহকারী সংস্থার অফিস থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা গায়েব করে দেওয়ার অভিযোগ কর্মীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ক্যাশ বাক্স থেকে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা সরিয়েছেন ওই কর্মী। পুলিশের দাবি, চুরির টাকায় রাতারাতি জমি কিনতে অগ্রিম দিয়েছেন ৮ লক্ষ টাকা। কেনা হয়েছে ২টি গাড়ি ও একটি আই ফোন। তবে শেষরক্ষা হয়নি। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে হুগলির কোন্নগর থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিশ। ধৃতের নাম সজ্জন সিং। বড়বাজারের ওষুধ সরবরাহকারী সংস্থার মালিকের দাবি, অফিসের ক্যাশের দায়িত্ব সামলানোর পাশাপাশি, অ্যাকাউন্টসও দেখতেন সজ্জন। সিসি ক্যামেরায় দেখা যায়, ক্যাশ বাক্স থেকে বান্ডিল বান্ডিল নোট বের করে এ-ফোর সাইজ কাগজ দিয়ে চাপা দিচ্ছেন ওই কর্মী। তারপর সকলের অলক্ষ্যে কাগজের নিচ থেকে টাকা সরিয়ে ঢোকাচ্ছেন নিজের পকেটে। এক ক্রেতার নজরে পড়ে বিষয়টি। হেয়ার স্ট্রিট থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। 


আরও পড়ুন: Dengue Update: লাফিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গি হাসপাতালে বেডের আকাল