জয়ন্ত রায়, মহেশতলা: বাড়ির লোকের কথায় অভিমান করে মধ্যরাতে চারতলার কার্নিসে গৃহকর্তা। চিৎকার চেঁচামেচিতে ঘুম ভাঙল প্রতিবেশীদের। দমকল (Fire Brigade) ও পুলিশের (Police) ৩ ঘণ্টার চেষ্টায় নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে ওই ব্যক্তিকে। মল্লিকবাজারে হাসপাতালের কার্নিস থেকে পড়ে রোগী মৃত্যুর স্মৃতি উসকে দিল মহেশতলার (Maheshtala) মোল্লারগেটের ঘটনা।
অভিমানে চারতলার কার্নিসে গৃহকর্তা: কলকাতার মল্লিকবাজারে, হাসপাতালের ৮ তলার কার্নিস থেকে পড়ে রোগী মৃত্যুর ভয়ঙ্কর স্মৃতি এখনও দগদগে। তার তিন দিনের মাথায় আরেক কার্নিসকাণ্ড দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলায়। গভীর রাতে চারতলা ফ্ল্যাটের কার্নিসে উঠে পড়েন বছর পঞ্চাশের এক ব্যক্তি। দমকল ও পুলিশের ৩ ঘণ্টার চেষ্টায় তাঁকে নামিয়ে আনা হয়। পরিবার ও পুলিশের তরফে যে ভিডিও মিলেছে তাতে দেখা যাচ্ছে, চারতলা আবাসনের একেবারে ওপরের কার্নিসে দাঁড়িয়ে এক ব্যক্তি। মইয়ের সাহায্যে তাঁকে নামানোর চেষ্টা করছেন দমকলকর্মী। ছাদে উৎসুক প্রতিবেশীদের ভিড়। নীচেও থিকথিকে মানুষের মাথা। পুলিশ সূত্রে খবর, রাত ২টো থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত চলে উদ্ধার অভিযান। ৩ ঘণ্টার চেষ্টায় ওই ব্যক্তিকে নীচে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়।
মহেশতলার মোল্লারগেটের ২০ ফুট এলাকার বাসিন্দা জি কুমার রাও (৫০)। চারতলার একটি আবাসনের টপ ফ্লোরে সপরিবারে থাকেন তিনি। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, মদের নেশায় সম্প্রতি ছেলের দোকানের সরঞ্জাম বিক্রি করে দেন বাবা। পরিবার সূত্রে খবর, তার প্রতিবাদ করে ঘর থেকে বেরিয়ে যেতে বলা হয়েছিল জি কুমার রাওকে। অভিযোগ, সেই অভিমানে মত্ত অবস্থায় ছাদের পাইপ বেয়ে কার্নিসে নেমে পড়েন তিনি।
জি কুমার রাওয়ের ছেলে অনিল রাও বলেন, “রোজ মদ খায়। দোকানের জিনিস বিক্রি করে দিয়েছে। বলেছিলাম এরকম করলে নিজের জিনিস গুছিয়ে বাড়ি থেকে চলে যাও। তারপর কার্নিসে উঠে পড়ে। রাতে চিৎকার করতে থাকে।’’ কয়েক দিন আগেই সবার নজর এড়িয়ে মল্লিকবাজারের ইনস্টিটিউট অফ নিউরো সায়েন্সেসের ৮ তলার কার্নিসে উঠে পড়েন এক রোগী। সবাই মিলে চেষ্টা করেও নামানো যায়নি। পড়ে মৃত্যু হয় তাঁর। এবার কার্নিসকাণ্ড মহেশতলায়। পরিবার সূত্রে খবর, প্রথমে ১০০ ডায়াল করে পুলিশে খবর দেন তাঁরা। মহেশতলা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দমকলকে খবর দেয়। যৌথ প্রচেষ্টায় উদ্ধার করা হয় ওই ব্যক্তিকে।