উদয়পুর: কানহাইয়া লাল হত্যার (murder) ঘটনায় পাক-যোগের (pak link ) সম্ভাবনা দেখা গিয়েছিল আগেই। এবার নতুন মোড়। বুধবার রাজস্থান পুলিশ সাংবাদিক বৈঠকে জানাল, কানহাইয়া-খুনে অন্যতম অভিযুক্ত (accused) গউস মহম্মদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল পাক জঙ্গি (terrorist) সংস্থা দাওয়াত-এ-ইসলামির। ২০১৪ সালে করাচি (karachi) ঘুরে আসে সে, দাবি রাজস্থান (rajasthan) পুলিশের ডিজি এম এল লাথের-এর।
রেইকি হয়েছিল দোকানের, বলছে সূত্র
এদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, নিহত কানহাইয়া লাল আগেই আশঙ্কা করেছিলেন কেউ বা কারা তাঁর দোকানের রেইকি করছে। কিন্তু পরিবারের খেদ, পুলিশ কান দেয়নি। কর্তব্যে গাফিলতির জন্য উদয়পুরের ধানমন্ডি পুলিশ স্টেশনের এএসআইকে আগেই সাসপেন্ড করা হয়েছে।
তবে পিটিআই অবশ্য় জানিয়েছে, পাক বিদেশ দফতর এই খুনের সঙ্গে করাচির কোনও সংগঠনের যোগ আছে বলে মানতে চায়নি। যদিও কানহাইয়াকে গলা কেটে খুনের ঘটনা জঙ্গি হামলা বলেই মনে করছে কেন্দ্রীয় সরকার। । ইউএপিএ ধারায় এফআইআর দায়ের করেছে এনআইএ। সব মিলিয়ে ধৃতের সংখ্যা ৫।
কী ভাবে পাক-যোগ?
কিন্তু গউস মহম্মদ ছাড়া যে দ্বিতীয় অভিযুক্তের নাম শোনা গিয়েছে, সেই রিয়াজ আখতারিও কি দাওয়াত-এ-ইসলামির সঙ্গে জড়িত? একটি সূত্র দাবি করেছিল, রিয়াজই জঙ্গি সংগঠনটির সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। যদিও রাজস্থান পুলিশের ডিজি-র বক্তব্য, গউস দাওয়াত-এ-ইসলামির সঙ্গে যোগাযাগ রাখত। তবে যেহেতু কানহাইয়া লাল খুনে দুজনকেই দায়ী বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা, তাই দুজনেরই পাক যোগ থাকা অসম্ভব নয়।
ডিজি-র বক্তব্য, যে অস্ত্র দিয়ে কানহাইয়াকে খুন করা হয়েছিল তার চার-পাঁচ বছর আগে রিয়াজ নিজের হাতে বানায়। তবে কি সেই সময় থেকেই চরমপন্থী সংগঠনটির সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে দুজনের?সেটি স্পষ্ট নয়। তবে সংগঠনটির যে দিল্লি ও মুম্বইয়ে শাখা রয়েছে সেটা জানিয়েছেন রাজস্থান পুলিশের প্রধান।
আরও পড়ুন:'সর্বস্ব লুটেছেন প্রিয়জন, পদ কোন কাজের'! মারাঠা আবেগ নিয়েই আড়াই বছরের রাজপাটে ইতি উদ্ধবের