রঞ্জিত হালদার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা : রাতভর বাবা-মায়ের মৃতদেহের সঙ্গে বন্ধ ঘরে কাটাল বছর চারেকের ছেলে। পুলিশের (Police) প্রাথমিক অনুমান, দাম্পত্য কলহের জেরে সন্তানের সামনেই স্ত্রীকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই ব্যক্তি। নরেন্দ্রপুরে (Narendrapore) হাড়হিম করা ঘটনা।


সন্তানের সামনেই স্ত্রীকে খুন করে আত্মঘাতী !


মায়ের রক্তাক্ত দেহ পড়ে ঘরের মেঝেতে, সিলিংয়ে ঝুলছে বাবার দেহ। এই ঘরেই সারারাত কাটাল বছর চারেকের ছেলে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার  (South 24 Parganas) রাজপুর-সোনারপুরে হাড়হিম করা ঘটনা। পুলিশের অনুমান, সন্তানের সামনেই স্ত্রীকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই ব্যক্তি। মৃতদের নাম, চন্দনা গায়েন ও নির্মল গায়েন। তাঁদের বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জে। দিন পাঁচেক আগে নরেন্দ্রপুরের উদয়নপল্লির এই বাড়িতে ভাড়া আসেন তাঁরা।


বাবা-মার মৃতদেহের সামনে বসে সন্তান


নতুন কাজে পেয়ে সেখানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল নির্মলের। সেই মতো সকালে তাঁকে ডাকতে আসেন এক সহকর্মী । তাঁর দাবি অনেকক্ষণ ডাকাডাকি  করেও সাড়া না পেয়ে জানালা ভেঙে দেখতে পান ভয়ঙ্কর দৃশ্য। সেই ঘরেই বসে রয়েছে তাঁদের চার বছরের ছেলে। ঘর ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। 


হতবাক স্থানীয়রা


যে ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকাতে তৈরি হয় ব্যাপক চাঞ্চল্য। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন এলাকার কাউন্সিলর দেবব্রত মণ্ডল। যে বাড়িতে ওই দম্পতি ভাড়া উঠেছিলেন তিনি বলেছেন, 'কাল রাতেও স্বাভাবিক ছিল, সকালে দেখি এই ঘটনা'। নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ (Narendrapore Police Station) এসে দরজা ভেঙে শিশুটিকে উদ্ধার করে।


পুলিশ কী জানাচ্ছে


পুলিশ সূত্রে খবর, ঘর থেকে একটি রক্তাক্ত বঁটি উদ্ধার হয়েছে। অনুমান, এই বঁটি দিয়েই স্ত্রীকে খুন করেন নির্মল। দাম্পত্য কলহের জেরেই এই ঘটনা বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছে পুলিশ। বাচ্চাটিকে শিশু সুরক্ষা কমিটির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।  


এদিকে, বুধবার দুপুরে মুর্শিদাবাদের নওদা থানার সাকোয়া চুনারীপাড়া এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। চার বছরের শিশু কন্যাকে খুনের অভিযোগ ওঠে ঠাকুমার বিরুদ্ধে।এলাকাবাসীদের দাবি, ছেলের  দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীর কন্যাসন্তান হওয়ায় বাড়িতে অশান্তি হত। পরিবারের একমাত্র রোজগেরে অজয় চুনারী বিহারে কাজ করেন। প্রথম পক্ষের স্ত্রীর মৃত্যুর পর ফের বিয়ে করেন অজয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীর কন্যাসন্তানকে অজয় চুনারীর মা লক্ষ্মী চুনারী খুন করেছেন। এই ঘটনায় মৃত ওই শিশুর মা তাঁর শাশুড়ির বিরুদ্ধে থানায় খুনের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। লিখিত অভিযোগ ভিত্তিতে মৃত ওই শিশুর ঠাকুমাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।


আরও পড়ুন- ৬০০ কোটি বিনিয়োগ, প্রায় ২ হাজার কর্মসংস্থান, রাজ্যে টাটা গোষ্ঠীর কারখানার উদ্বোধন মুখ্যমন্ত্রীর