গৌতম মণ্ডল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: আদালতের নির্দেশে চাকরি গিয়েছে ছেলের। তারপরেই চাকরি দুর্নীতি নিয়ে তৃণমূল বিধায়ককে নিশানা করে লিফলেট পড়ল এলাকা জুড়ে। ঘটনাস্থল দক্ষিণ ২৪ পরগনার মন্দিরবাজার। কাকে কাকে প্রভাব খাটিয়ে চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন ওই বিধায়ক? সেই তালিকা দিয়েই লিফলেট পড়ল তৃণমূল বিধায়কের নামে। তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে এই লিফলেট ঘিরেই শোরগোল পড়ে গেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মন্দিরবাজার এলাকায়। এই নিয়ে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে বিজেপি-সিপিএম। অহেতুক কুৎসা রটাচ্ছে বিরোধীরা, অভিযোগ উড়িয়ে দাবি করেছেন তৃণমূল বিধায়ক।


নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ED-CBI-এর তদন্তে রোজই কোনও না কোনও নতুন তথ্য সামনে আসছে। রাজ্যের শাসকদলের একের পর এক নেতার নাম জড়িয়েছে। এমনকী আদালতের নির্দেশে চাকরিহারাদের তালিকাতেও মিলেছে তৃণমূল নেতাদের যোগ। এবার প্রভাব খাটিয়ে পরিবার ও ঘনিষ্ঠদের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগে লিফলেট পড়ল মন্দিরবাজারের তৃণমূল বিধায়কের নামে।


কাদের চাকরি:
তৃণমূলের সুন্দরবন সাংগঠনিক জেলার সভাপতি জয়দেব হালদার। সম্প্রতি আদালতের নির্দেশে চাকরি খুইয়েছেন তাঁর ছেলে সুদীপ। লিফলেটে অভিযোগ তোলা হয়েছে, আরেক ছেলে, শ্যালিকা, ভাগ্নি, ভাগ্নি জামাই, ২ ভাইপো, ভাইয়ের বউকেও প্রভাব খাটিয়ে চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন বিধায়ক জয়দেব হালদার। 


বিরোধীদের কটাক্ষ:
তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে লিফলেট পড়তেই এনিয়ে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে বিরোধীরা। বিধায়কের পাশে দাঁড়িয়ে বিরোধীদের পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছে তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব।


এর আগে প্রাথমিকে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা তোলার অভিযোগে হাড়োয়ায় তৃণমূল বিধায়ক শেখ হাজি নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে পোস্টার পড়েছিল। পোস্টারের নীচে নাম ছিল তৃণমূল কংগ্রেসেরই। আর এবার মন্দিরবাজারের তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে লিফলেট পড়ল। কে বা কারা এই লিফলেট দিল? সে নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।


ফের বাম আমলের চাকরি বিতর্ক । এবার সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর ১৩  আত্মীয়ের তালিকা প্রকাশ করলেন কুণাল ঘোষ। যদি ঠিক হয়, তাহলে তদন্ত হোক, ট্যুইটে এমনই দাবি করেছেন তৃণমূল নেতা। পাশাপাশি ট্যুইটে সুজনের বিবৃতিও দাবি করেন তিনি। যদিও বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ সুজন চক্রবর্তী। উপরন্তু তিনি প্রশ্ন তোলেন, 'শ্বেতপত্র প্রকাশ না করে ভুলে ভরা তালিকা কেন ? তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, "সিপিএমে সূত্র থেকেই এধরনের একটা তালিকা পাওয়া যাচ্ছে। মূলত সুজন চক্রবর্তীকে কেন্দ্র করে। তাঁর যাঁরা আত্মীয় তাঁদের এই এই চাকরি। তার মধ্যে কিছু সরকারি চাকরি, একটি দেখলাম 'গণশক্তি'-র চাকরি। সেটা অবশ্যই সরকারি নয়। ওটা তো পার্টির নিজস্ব ব্যাপার। কিন্তু সেক্ষেত্রেও অনেকেই বলছেন, বহু লোকাল কমিটি থেকে বহু যোগ্য কমরেড, তাঁদের গণশক্তির চাকরির জন্য সুপারিশ করা হয় বা নাম পাঠানো হয়। কিন্তু, দিনের শেষে দেখা গেল, যে সুজনবাবু বা বড় কোনও নেতার আত্মীয়ই ঘুরেফিরে বহু ক্ষেত্রে সেই জায়গাটা পেয়ে যান। এখন এই তালিকাটা যেভাবে সিপিএম সূত্র থেকেই আসছে, এটা সত্যি না মিথ্যা জানি না।"  



আরও পড়ুন: শিবপুরকাণ্ডে ৫ কোম্পানি CRPF-র মোতায়েনের দাবি শুভেন্দুর