রঞ্জিত হালদার ও ভাস্কর ঘোষ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা :  স্ত্রীকে খুন করে মাটিতে পুঁতে দিয়ে পলাতক স্বামী। বারুইপুর থানার (Baruipur Police Station) দক্ষিণ দুর্গাপুর মনসাতলা এলাকার ঘটনা। ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে তোলা হল দেহ। অন্যদিকে, হাওড়ার বালি থানা এলাকায় এক গৃহবধূ খুনের ঘটনায় সুন্দরবন থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ (Police)।


বন্ধ থাকা ঘরের দরজা খুলতেই ছড়িয়ে পড়ল দুর্গন্ধ


বন্ধ থাকা ঘরের দরজা খুলতেই ছড়িয়ে পড়ল দুর্গন্ধ। মেঝেতে পেতে রাখা চৌকি তুলতেই দেখা গেল দেহাংশ! স্ত্রীকে খুন করে মাটিতে পুঁতে দিয়ে পলাতক স্বামী। ৪ দিন পর ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে তোলা হল দেহ। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরের দক্ষিণ দুর্গাপুর এলাকায়। মৃতার নাম অঞ্জলি মণ্ডল(৩৬)। স্থানীয় সূত্রে খবর, নবমীর দিন শেষবার দেখা গিয়েছিল অঞ্জলিকে।


ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতি মাটি খুঁড়ে উপরে তোলা হয় দেহ


দশমীর দিন থেকে নিখোঁজ হয়ে যান বধূ।স্বামী রবিন মণ্ডল দাবি করেন, পালিয়ে গিয়েছেন স্ত্রী। লক্ষ্মীপুজোর সকালে বাপের বাড়ির লোকেরা রবিনের বাড়িতে আসেন। বন্ধ থাকা একটি ঘরের চাবি চাইলে, চাবি দিয়ে ফেরার হয়ে যান অভিযুক্ত স্বামী। বন্ধ ঘর খুলে দেখা যায়, ২টি চৌকির নীচের মাটি এবডোখেবড়ো। সন্দেহ হওয়ায় খবর দেওয়া হয় পুলিশে। আসে বারুইপুর থানার বিশাল বাহিনী। ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতি মাটি খুঁড়ে তোলা হয় অঞ্জলির রাখা দেহ।


স্বামীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের প্রতিবাদ করায় মারধর 
 
পরিবার সূত্রে খবর, নানা কারণে প্রায়ই স্বামীর সঙ্গে ঝামেলা হত অঞ্জলির। অভিযোগ, স্বামীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের প্রতিবাদ করায় তাঁকে মারধর করে বেঁধেও রাখা হত। পারিবারিক অশান্তির জেরেই এই ঘটনা বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের। পলাতক স্বামীক খোঁজে চলছে তল্লাশি। অন্যদিকে, হাওড়ার বালি থানা এলাকায় ধর্মতলা রোডে এক গৃহবধূ খুনের ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।



 আরও পড়ুন, প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর গ্রেফতারির প্রতিবাদে রাস্তায় বর্তমান খাদ্যমন্ত্রী, বললেন.. 


বড় মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল মনোতোষের


মৃতের নাম দীপা দাস। গত ১৬ অক্টোবর রাতে খুন হন তিনি। সেই ঘটনায় সুন্দরবন এলাকা থেকে মনোতোষ মণ্ডল নামে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানতে পেরেছে, মহিলার প্রথম পক্ষের তিন মেয়ে রয়েছে। বড় মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল মনোতোষের। কিন্তু সেই সম্পর্ক ভেঙে যায়। এরজন্য দীপাকে দায়ী করেন মনোতোষ। সেই কারণেই খুন বলে অনুমান।