গৌতম মণ্ডল, সুন্দরবন: জাল ফেলতেই উঠে এল বিরাট আকারের শঙ্কর মাছ। মুড়িগঙ্গা নদী থেকে জালে ওঠে ওই মাছ। সেটি বিক্রি হয়েছে ২২ হাজার টাকায়। এত বড় মাছ আগে কখনও ধরা দেয়নি বলে জানান জাল ফেলা মৎস্যজীবী। তবে যে দামে মাছ বিক্রি হয়েছে, তাতে খুশি তিনি। জানিয়েছেন ওই মাছের দৌলতেই কিছু অর্থের মুখ দেখল তাঁর পরিবার। (Batoidea Fish)


শনিবার সকালে মুড়িগঙ্গা নদীতে এক মৎস্যজীবীর জালে ওই বিরাট আকারের শঙ্কর মাছটি ধরা দেয়। কাকদ্বীপের আট নম্বর লটের দাসপাড়ার বাসিন্দা ভরত পুরকাইতের জালে ধরা দেয় মাছটি। গতকাল সকালে ছোট ডিঙিতে চেপে মা-বাবাকে নিয়ে মুড়িগঙ্গায় মাছ ধরতে গিয়েছিলেন তিনি। এমনিতে চিংড়ি মাছ ধরতেই নদীতে যায় পুরকাইত পরিবার। (Sundarban News)


সেই মতো, শনিবারও জাল ফেলা হয়েছিল। জাল পেতে রেখে অপেক্ষা করছিলেন সকলে। দুপুরের দিকে আচমকাই টান পড়ে জালে। কিন্তু জাল টানতে গিয়ে ভারী ঠেকে সকলের। এর পর তিন জনে মিলে জাল টানতে শুরু করেন। তাতেও হিমশিম খেয়ে যান কার্যত। কোনও রকমে জালটিকে নৌকায় তুলতে সক্ষম হন তাঁরা, তাতেই দেখা যায় বিরাট আকারের শঙ্কর মাছ আটকে রয়েছে জালে। 


আরও পড়ুন: CV Ananda Bose: কুরুক্ষেত্রে অর্জুনের সারথি ছিলেন শ্রীকৃষ্ণ, ভারতের আছে ‘নরেন্দ্র-কৃষ্ণ’, মন্তব্য রাজ্যপালের


কোনও রকমে জাল থেকে মাছটিকে আলাদা করেন পুরকাইত পরিবারের সদস্যরা। এর পর উপকূলে ফিরে আসেন তাঁরা। ওই বিরাট আকারের শঙ্কর মাছ নিয়ে পাড়ে পৌঁছলে, সেখানেও হইচই পড়ে যায়। এত বড় মাছ দেখতে ভিড় জমান সকলে। অন্য মৎস্যজীবীরাও ছুটে আসেন শঙ্কর মাছটিকে দেখতে। দাঁড়িপাল্লায় চাপিয়ে দেখা যায়, মাছটির ওজন ৯০ কেজি। এত বড় মাছ আগে কখনও তাঁদের জালে ধরা পড়েনি বলে জানান ভরত। 


এর পরই মাছটির কত দর হতে পারে, হিসেব কষতে শুরু করেন সকলে। প্রাথমিক উত্তেজনা কাটিয়ে মাছটিকে নিশ্চিন্তপুরের আড়তে নিয়ে যান ভরত। সেখানে নগদ ২২ হাজার টাকায় মাছটি বিক্রি করেন ভরত। ২৪০ টাকা কেজি দরে মাছটি বিক্রি করেন ভরত। তিনি জানিয়েছেন, মূলত চিংড়ি ধরতেই নদীতে যান তাঁরা। এবারও চিংড়ি ধরতেই গিয়েছিলেন। কিন্তু জালে উঠে আসে ওই বিরাট আকারের মাছ। তবে তাতে ভালই হয়েছে তাঁদের। ওই শঙ্কর মাছের দৌলতে কিছু অর্থের মুখ দেখল পুরকাইত পরিবার।