হিন্দোল দে, ডায়মন্ড হারবার: ডায়মন্ড হারবারে (Diamond Harbor) ভেসেল দুর্ঘটনায় এখনও নিখোঁজ দুই শিশুকন্যা। ডুবুরি নামিয়ে সন্ধান চালানোর পাশাপাশি, ড্রোন উড়িয়েও চলছে তল্লাশি। গতকাল ডায়মন্ড জেটিঘাটের কাছে হুগলি নদীতে (Hooghly River) পড়ে যায় ৫ ও ৭ বছরের দুই শিশুকন্যা। রাতেই ডুবুরি নামিয়ে তল্লাশি শুরু হয়, এলাকায় মোতায়েন সিভিল ডিফেন্স। রয়েছেন ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।
ভেসেল দুর্ঘটনায় এখনও নিখোঁজ দুই শিশুকন্যা: ভেসেল থেকে হুগলি নদীতে পড়ে তলিয়ে গেছে ৭ ও ৫ বছরের দু’বোন। তাঁদের খোঁজে নামানো হয়েছে ডুবুরি। ড্রোন উড়িয়েও চষে ফেলা হয়েছে ঘটনাস্থল। বোট নিয়ে চলেছে তল্লাশি। তবু খোঁজ মেলেনি দুই শিশুকন্যার। কলকাতার আনন্দপুর থানা এলাকার গুলশন কলোনির বাসিন্দা জাকির হোসেন তাঁর দুই মেয়ে ও পরিবার নিয়ে রবিবার বেড়াতে গিয়েছিলেন ডায়মন্ড হারবার। ফেরিঘাট থেকে তাঁরা ভেসেলে পূর্ব মেদিনীপুরের কুকড়াহাটি গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পথেই বিপত্তি। পরিবারের দাবি, ফেরিঘাটের কাছে এসে আচমকা ভেসেল থেকে জলে পড়ে যায় দুই বোন। তারপর থেকেই তাদের আর খোঁজ নেই। রবিবার সন্ধে ৭টা থেকে শুরু হয় তল্লাশি। মাঝে খানিক বিরতি। তারপর ফের সোমবার সকাল থেকে ফের তল্লাশি শুরু হয়। ফেরিঘাটে রক্ষী থাকলে হয়ত এমন ঘটনা ঘটত না, দাবি পরিবারের। রবিবার সন্ধে থেকেই চরম উদ্বেগে ২ শিশুর পরিবার। উত্কণ্ঠার প্রহর গুনছে তারাও।
এদিকে নৌকা চড়ে দীঘিতে ঘুরতে গিয়ে আর ফেরা হল না। নৌকাবিহারে গিয়ে জলে ডুবে মৃত্যু হল এক যুবকের (Youth Death)। পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) আউশগ্রাম থানা এলাকার ঘটনা। দীর্ঘক্ষণ ধরে খোঁজাখুঁজির পর অবশেষে মিলল যুবকের মৃতদেহ। ঘটনাটি ঘটেছে আউশগ্রাম থানার আলেফ নগর এলাকায়। বরকত আলি মল্লিক কাজের সূত্রে কেরলে থাকেন। ছুটিতে বাড়িতে এসেছিলেন। এখানে এসে বাবার সঙ্গে জমিতে ঘাস কাটতে যান তিনি। সেখানে দীঘিতে মাছের খাবার দেওয়ার যে নৌকা বাঁধা ছিল তা নিয়েই দীঘির মাঝখানে ঘুরতে যান বরকত। আর তখনই ঘটে যায় এই বিপত্তি। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, মৃত বরকত আলি মল্লিক সাঁতার জানতেন না। দীর্ঘক্ষণ ধরে খোঁজাখুজির পর অবশেষে মৃতদেহ উদ্ধার হয় দীঘি থেকে।
আরও পড়ুন: Saigal Hossain: অনুব্রতর রক্ষী সায়গলকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করতে পারবে ইডি, জানাল আদালত