কলকাতা: সাতসকালে মুম্বই বিমানবন্দরে হাজির খুদে। পরনে লাল টি-শার্ট, কালো ট্রাউজার্স, স্নিকার্স। মাথায় লাল পাগড়ি।
কিন্তু চমক বলতে, খুদের হাতে ধরা প্ল্যাকার্ড। যাতে লেখা, 'উই লাভ ইউ দাদা আঙ্কল। ইউ আর দ্য বেস্টেস্ট'।
বাংলা করলে দাঁড়ায়, আমরা তোমাকে ভালবাসি দাদা আঙ্কল, তুমিই সেরা।
মঙ্গলবার আরব সাগরের তীরে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের বার্ষিক সাধারণ সভা। যে সভায় বোর্ডের নতুন পদাধিকারীদের বেছে নেওয়া হবে। তবে নির্বাচন হচ্ছে না। আগেই নির্ধারিত হয়ে গিয়েছে যে, সৌরভকে সরিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট হবেন রজার বিনি। সচিব হিসাবে থেকে যাচ্ছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর পুত্র জয় শাহ। রাজীব শুক্ল সহ সভাপতি থাকছেন। কোষাধ্যক্ষ হচ্ছেন আশিস সেলার। যুগ্মসচিব হচ্ছেন দেবজিৎ সাইকিয়া।
বোর্ডের এজিএমে যোগ দিতে মুম্বই পৌঁছে গিয়েছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly)। সোমবার সকালে মুম্বই বিমানবন্দরে সৌরভকে দেখতে হাজির হয়ে গিয়েছিল খুদে ভক্ত। হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিল বিমানবন্দরে।
খুদের স্বপ্নপূরণ হয়েছে। সৌরভের সঙ্গে তাঁর খুদে ভক্তের দেখা হয়েছে, জানা গেল সৌরভের অফিস থেকে। তার হাতের প্ল্যাকার্ডে লেখা পড়ে মজা পেয়েছেন সৌরভও।
পাশে মমতা
'অমিত শাহর (Amit Shah) ছেলে বোর্ডে (BCCI) আছেন, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (sourav ganguly) বাদ কোন উদ্দেশ্যে', রাখঢাক না করে স্পষ্ট প্রশ্ন (question) মুখ্যমন্ত্রী (CM) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (mamata banerjee)। সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ, আইসিসি-র ভোটে সৌরভকে লড়তে দেওয়া হোক।
কী বললেন মমতা?
উত্তরবঙ্গ যাওয়ার পথে এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'দেশবাসী তথা পুরো বিশ্বের ক্রিকেটপ্রেমীদের পক্ষ থেকে বলছি, সৌরভ আমাদের গৌরব। মাঠে যথেষ্ট দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন, প্রশাসনও চালিয়েছেন। তিনি বিসিসিআই সভাপতি ছিলেন। আদালত একটা নির্দেশ দিয়েছিল যাতে ওঁকে তিন বছরের মেয়াদ দেওয়া হয়। পাশাপাশি অমিত শাহের জয় শাহ-কেও ৩ বছরের মেয়াদ দেওয়া হয়। কিন্তু কেন জানি না, অমিত শাহের ছেলে রয়ে গেলেন, তা হলে সৌরভকে বাদ দেওয়া হল কোন উদ্দেশ্যে?' এতেই শেষ নয়। মমতার সংযোজন, 'আমি এখনও মনে করি, ওঁকে যে অন্যায় ভাবে বাদ দেওয়া হয়েছে এটার একমাত্র ক্ষতিপূরণ হতে পারে আইসিসি। ভারত থেকে মাত্র ১-২ জন আইসিসি-তে যাওয়ার যোগ্য। আমি প্রধানমন্ত্রীকে বিনীত অনুরোধ করব, সৌরভকে আইসিসি-র ভোটে লড়তে দেওয়া হোক। ওঁর সঙ্গে বঞ্চনা করা হচ্ছে। কেন বঞ্চনার শিকার সৌরভ?' ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক সম্পর্কে উচ্ছ্বসিত কথাও শোনা যায় তাঁর মুখে। বলেন, 'সকলে ওঁকে চেনে, গোটা পৃথিবী ওঁর কথা জানে। আমরা ওঁকে নিয়ে গর্বিত। শুধু বাংলা নয়। উনি পুরো দেশ তথা পৃথিবীর অহংকার।' তৃণমূলনেত্রীর বক্তব্য, 'সরকারকে অনুরোধ, রাজনীতি করবেন না। প্রতিহিংসাপরায়ণ হবেন না। উনি কোনও রাজনৈতিক দলের সদস্য নন। ক্রিকেট, খেলাধুলোর কথা মাথায় রেখে সিদ্ধান্ত নিন।'